রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শিশুদের মনোবিকাশে প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা : মেয়র শাহাদাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

নৈতিক শিক্ষা শিশুদের মনোবিকাশ ঘটিয়ে তাদের প্রকৃত মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষে পরিণত করে বিধায় স্কুল পর্যায়েই শিশুদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

বৃহস্পতিবার পাঁচলাইশস্থ আল রাওয়া ইংলিশ স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া  ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২০২৪ এ স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, আজকের শিশুরাই আগামীতে জাতিকে নেতৃত্ব দিবে৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারকেও ভুমিকা রাখতে হবে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা নিশ্চিতের বিষয়ে৷ কারণ নৈতিক শিক্ষা শিশুদের মনোবিকাশ ঘটিয়ে তাদের প্রকৃত মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষে পরিণত করে।bsrm

নৈতিক শিক্ষার উপর জোরারোপ করে মেয়র বলেন, আমরা মৌলিক শিক্ষা নৈতিক শিক্ষার উপর কিন্তু অতটা জোর দিচ্ছি না। একজন মানুষ একজন ভালো ডাক্তার হয়তোবা হতে পারে পড়াশোনা করে। কিন্তু ভালো ডাক্তার হয়ে যদি আমি বিনামূল্যে একটা গরীব রোগীকে চিকিৎসা না করি সেক্ষেত্রে আমার ভালো ডাক্তারের আর কোন মূল্যায়ন থাকে না। ঠিক তেমনি প্রতিটি প্রফেশনে আমি যদি মানবতাটা দেখাতে না পারি তাহলে কিন্তু সেটার কোন দাম থাকে না। এই শিক্ষাটাই আপনারা দিতে চেষ্টা করবেন যাতে শিক্ষার্থীরা সে মানুষের মত মানুষ হতে পারে।

“বাংলাদেশকে আজকে একটি উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি আমাদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। আজকের ছাত্র-ছাত্রী একদিন এদেশের কর্ণধার হবে, একদিন তারা বিচারক হবে বিচার করতে গিয়ে যদি কোনো নিরীহ লোক যদি হয়রানির শিকার হয় তাহলে ওই শিক্ষার আর কোনো দাম থাকবে না। পুঁথিগত বিদ্যার চাইতে নৈতিক শিক্ষায় সবাইকে শিক্ষিত হতে হবে কারণ পুঁথিগত  বিদ্যা আর পর হস্তে ধন নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন। নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। তাহলেই আমরা একদিন দুর্নীতিমুক্ত, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে পারবো।”

পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে ছাত্রদের প্রশিক্ষণ দিতে শিক্ষকদের ভূমিকা প্রত্যাশা করে মেয়র বলেন, আমি যেটার উপর জোর দিবো সেটা হচ্ছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। আপনারা ছাত্রদেরকে হয়তোবা এভাবে আপনারা সেটা শিখাতে পারেন সবাইকে একটা চকলেট দিতে পারেন, চকলেটের কাভারটা ছেলেরা কোথায় ফেলছে তা পরিলক্ষণ করলেন। কাভারটা সে নিচে ফেলল না, ডাস্টবিনে ফেলল। যারা ডাস্টবিনে ফেলেছে তাদেরকে একটা শ্রেণি। আর যারা ডাস্টবিনে ফেলল না তাদেরকে আরেকটা শ্রেণী তৈরি করবেন। এবং তাদেরকে ওভাবে শিক্ষা দিতে হবে যেন সে পরবর্তীতে যাতে সেটা ডাস্টবিন ব্যবহার করে।ads din

শিশুদের  আনন্দময় শৈশব উপহার দিতে প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ ও শিশুপার্ক গড়ার ঘোষণা দিয়ে মেয়র বলেন, আমার ইচ্ছা নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডেই খেলার মাঠ, ওয়াকিং স্পেস ও শিশুপার্ক  গড়ে তুলবো। খেলার মাঠ উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা শিশুদের শরীর চর্চার সুযোগ দিতে চাই, যা তাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।

স্কুলের প্রিন্সিপাল নিশাত কাদেরী’র সভাপতিত্বে  এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডক্টর চৌধুরী মোহাম্মদ মনিরুল হাসান, ডা. নুরুল আমীন, ডা. মোহাম্মদ আবদুল্লা খান, মো. আবু তাহের, মোসলেম উদ্দিন প্রমুখ।

 

সর্বশেষ

এই বিভাগের আরও