“ ঘরের বধু হয়ে রান্না-বান্নার পাশাপাশি সংসারের আয়রোজগারে সঠিক উদ্যোগ নিলে অভাব কখনো স্পর্শ করতে পারেনা। পুরুষদের স্বার্থ এবং আমাদের স্বার্থ ভিন্ন নয় – একই, পুরুষদের জীবনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য যা- আমাদেরও তা-ই” জয়িতা পুরস্কারে ভূষিত এক নারী বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর জীবনযুদ্ধ ও সংসারের সুখ দুঃখের কাহিনীগুলো এমনভাবে ব্যক্ত করেন উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” কার্যক্রমের আওতায় সংবর্ধনার আয়োজন করে সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়।
এই লক্ষ্যে আয়োজিত র্যালি এবং পরবর্তী আলোচনা সভা ও চার জয়িতাদের সংবর্ধনা এবং সম্মাননা সূচক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
গতকাল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চার জয়িতার সংবর্ধনা উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধানঅতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম রফিকুল ইসলাম।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন রাসেদ, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হাবিব উল্লাহ, সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লা আল কাইয়ুম চৌধুরী ,সমাজ সেবা কর্মকর্তা লুৎফর নেছা সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন পাতা দে বৃষ্টি।
এবার সীতাকুণ্ডে জয়িতা ভূষিত চার নারী হলেন -অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য সৈয়দপুর ইউনিয়নের মধ্যমধারীর আব্দুর রহমানের সহধর্মিণী শায়রা বেগম, সমাজ সেবায় বিশেষ ভূমিকায় ভাটিয়ারীর জাহানাবাদের খায়রুল বশর মেম্বার বাড়ির মো. মিজানুর রহমান ইউছুফ এর স্ত্রী আইরিন নেছা মুনমুন । সফল জননী হিসেবে জয়িতা নির্বাচিত হন সীতাকুণ্ড পৌরসভার আমিরাবাদের শিক্ষাবিদ নজির আহমদের মেয়ে জিন্নাতুন ফেরদাউস। শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সফলতায় সীতাকুণ্ড পৌরসভাধীন শিবপুরের মাকসুদুর রহমানের স্ত্রী আকলিমা বেগম ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে সমাজ, দেশ ও বিশ্ব গঠনে নারীদের ভূমিকা তুলে ধরেন এবং একে অপরের সহযোগী হয়ে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন,আমরা বেগম রোকেয়া দিবস পালন করলে শুধু চলবেনা,তাঁর আদর্শ লালন পালন করতে হবে, সমাজ ও দেশের উন্নয়নে নারীরা গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছে, আগামীতে আরো বেশী বেশী ভূমিকা রাখতে হবে-এতেই বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। পরে প্রধানঅতিথি চার জয়িতার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন