চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১১ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাউজান সরকারি হাই স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার গ্রুপের আহতরা হলেন উত্তর জেলা যুবদলের সি. যুগ্ম সম্পাদক এইচ এম নূরুল হুদা, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রহিম উদ্দিন ওয়াসিম, ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ রিজুয়ান, মোহাম্মদ রাকিব, আবদুস ছালাম, মোহাম্মদ আলমগীর, মোহাম্মদ সাকিল, মো. রবি প্রমুখ। আহতদের মধ্যে ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ রিজুয়ানের অবস্থা গুরুতর। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অপরদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমর্থিত তিনজন আহত হয়েছেন। তারা হলেন সাইফুদ্দিন রিবন, মোহাম্মদ আলমগীর, মোহাম্মদ রুবেল। এই তিনজন উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের ডাক্তার।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গোলাম আকবর খন্দকার সমর্থিত রাউজান উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিজয় দিবসের মিছিল করেন। বিকেল ৪টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের সামনে থেকে এই মিছিল শুরু করেন তারা। মিছিলটি উপজেলা পরিষদ সম্মুখে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা ২০-৩০টি মোটরসাইকেল নিয়ে ৭০ জন নেতাকর্মী মিছিলে বাধা দেন। তারা গিয়াস উদ্দিন সমর্থিত বলে জানা গেছে।
উত্তর জেলা যুব দলের সভাপতি হাসান জসিম বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ বিজয় দিবসের মিছিলে পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা করা হয়েছে। এতে আট নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
উত্তর জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জি এম মোরশেদ চৌধুরী বলেন, কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই অতর্কিত মারধর শুরু করেন তারা। তার দাবি, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর গ্রুপ এ হামলা চালিয়েছে।
গিয়াস উদ্দিনের সমর্থিত উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সাবের সুলতান কাজল বলেন, খোন্দকার গ্রুপের লোকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করতে উপজেলা পরিষদে জড়ো হচ্ছিল।
এ সময় স্থানীয় জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করে হামলা চালাতে পারে। এ ঘটনায় আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
রাউজান সরকারি কলেজের সাবেক সভাপতি যুবদল নেতা রাসেল খান বলেন, হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। গিয়াস ভাইয়ের নির্দেশনা রয়েছে রাউজানে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে রাজনীতি করতে হবে। রাউজান বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গিয়াস ভাইয়ের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনার পর ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন দুই পক্ষের লোকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মাঠে রয়েছে। অপরদিকে দুই পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তর রাউজানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।