বিশ্বের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে সবার আগে ইংরেজি নতুন বছর ২০২৪ সালকে স্বাগত জানিয়েছে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতেও আলো ঝলমলে, আকর্ষণীয় আতশবাজির মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছে নতুন বছরকে। আর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে নিউজিল্যান্ডেরও একঘন্টা আগে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ কিরিবাতির বাসিন্দারা।
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরে গতকাল রবিবার বিখ্যাত স্কাই টাওয়ার ঘিরে জড়ো হয় কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয় সময় অনুযায়ী, ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছুঁতেই স্কাই টাওয়ার থেকে আতশবাজির মনোমুগ্ধকর ছটায় আলোকিত হয় অকল্যান্ডের আকাশ। সবাই সমস্বরে চীৎকার দিয়ে ওঠে। নিউজিল্যান্ডের পরই নববর্ষ বরণের প্রস্তুতি চলে অস্ট্রেলিয়ায়। দেশটির সিডনি শহরের হারবার ব্রিজ ও অপেরা হাউজ ঘিরে প্রতিবছর এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এবারও তেমনই হয়েছে। বিবিসি জানায়, নতুন বছর উপলক্ষে এবার ৮ দশমিক ৫ টন আতশবাজি ফোটানো হয় সেখানে। নতুন বছরকে সামনে রেখে সিডনিতেই প্রতিবছর বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়োজনে আতশবাজি হয়। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা সেখানে নতুন বছর উদযাপন করতে যান। এবছর সিডনি হারবারে ১২ মিনিট ধরে চলা ব্যাপক আতশবাজি মুগ্ধ হয়ে দেখেছে ১০ লাখ মানুষ। এই আতশবাজির পরিকল্পনা করা হয়েছিল ১৫ মাস ধরে।
জাপান, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশিয়ার অন্যসব দেশগুলোও নতুন বছর উদযাপনের আমেজে মেতেছে। চীন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং ও ফিলিপিন্সও বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে আগেই নতুন বছরে পা রাখে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত টাইমস স্কয়ারেও নতুন বছর ২০২৪ সালকে বরণ করতে বড় ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।