পটিয়া প্রতিনিধি *
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ২৮৯ পটিয়া-১২ সংসদীয় আসনের নৌকার মনোনীত প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সৈনিকেরা কোনোদিন দলের সঙ্গে বেঈমানি করতে পারে না। যুবদল ও জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে প্রকৃত নেতাকর্মীদের পটিয়ায় এতোদিন কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর দলীয় নেতাকর্মীরা বুঝতে পেরেছেন দলের সাথে কারা বেঈমানী করেছে। আগামী নির্বাচনে সেই বেঈমানদের ভোটের মাধ্যমে রুখে দিতে হবে।
১৭ ডিসেম্বর (রবিবার) রাতে পটিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এ কথা বলেন৷
২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সনজিব দাশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গব্বরউল বশর মনুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবু তৈয়ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মাহবুবুর রহমান, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য ও জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপু, পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, পটিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর আলম, সাধারণ সম্পাদক এমএনএ নাছির, পটিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইঞ্জিনিয়ার রূপক কুমার সেন, আওয়ামী লীগ নেতা স্বপন বিশ্বাস, ফজলুল হক আল্লাই, পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ডিএম জমির উদ্দীন, শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, প্রদীপ বিশ্বাস, কাউন্সিলর বুলবুল আক্তার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোফরান রানা, কাউন্সিলর সরোয়ার কামাল রাজিব, পটিয়া পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি নুর আলম ছিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম, সাইফুল্লা পলাশ, সোহেল মো. নিজাম উদ্দিন, সোহেল ইমরান, সাজ্জাদ হোসেন, দেবশিষ চক্রবর্তী,পটিয়া পৌরসভা শ্রমিক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা নাজিম উদ্দিন, হাবিবুর রহমান সুমন, শফিকুল আলম জুনু, মুজিবুর রহমান, অভিজিৎ বড়ুয়া মানু, শহীদুল আলম, ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রণব দাশ, আনোয়ার রহমান, নূর মোহাম্মদ বাবুল, আব্বাস আহমদ ছিদ্দিকী, নাজিম উদ্দিন বাহাদুর, মো. লিটন, মো. মান্নান, মো. আরিফ, মোহাম্মদ জহির, নারী নেত্রী জাহেদা বেগম সহ আরো অনেকেই।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, গত ১৫ বছরে পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে সামশুল হক চৌধুরী বিভিন্ন নামে বেনামে মামলা হামলা করে বিপর্যস্ত করেছে। তাদের কোনো ধরনের মিটিং মিছিল করতে দিতো না। সে যেমন যুবদল জাতীয় পার্টি হয়ে আওয়ামী লীগে এসেছে। ঠিক তেমনি তিনি এমপি হওয়ার পর থেকেই দলে বিএনপি জামায়াত শিবির আর জাতীয় পার্টি থেকে লোকজন এনে নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করে দলের ত্যাগী নেতাদের দুরে রেখেছে। এবার প্রধানমন্ত্রী তাকে দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে পটিয়া আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়েছেন। এখন তিনি নাকি দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে। আমরা তৃনমুল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তাকে প্রতিহত করব। পটিয়ার মাঠি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। এ সংসদীয় আসন পর পর তিনবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এবার স্বয়ং দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিতর্কিত বর্তমান সংসদ সদস্যকে আর দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে তৃনমুল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীন রাজনৈতিক মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। তাই দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বাইরে গিয়ে কাজ করার সুযোগ নেই। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তৃনমুল আওয়ামী লীগের এ নেতাকে বিজয়ী করতে কাজ করতে হবে।