পটিয়া প্রতিনিধি *
দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়ায় নিজ এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় করেছেন ২৮৯ চট্টগ্রাম পটিয়া-১২ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এর মনোনিত প্রার্থী শিল্পপতি ও সমাজসেবক এম এয়াকুব আলী।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলা কুসুমপুরা ইউনিয়নের হরিনখাইন এলাকার নিজ গ্রামের হাজারো মানুষের সাথে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় স্হানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ ভোটারেরা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনএম প্রার্থী শিল্পপতি এম এয়াকুব আলীকে নোঙ্গর প্রতিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার অঙিকার ব্যক্ত করেন।
তারা বলেন, পশ্চিম পটিয়া হচ্ছে ভোট ব্যাংক। নির্বাচন আসলে সব প্রার্থী নানা প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের ভোটগুলো কৌশলে নিয়ে ভোটের পর আর পশ্চিম পটিয়ার মানুষকে ছিনেন না। আমরা যুগে যুগে পশ্চিম পটিয়া মানুষ অবহেলিত। এবার সময় এসেছে আমাদের পশ্চিম পটিয়ার একক সংসদ সদস্য প্রার্থী এম এয়াকুব আলীকে বিজয়ী করে অবহেলিত পশ্চিম পটিয়ার মানুষের পক্ষে জাতীয় সংসদে গিয়ে কথা বলতে পারে সেজন্য আগামী ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনে নোঙ্গর প্রতিকে জয়যুক্ত করার।
এ মতবিনিময় সভায় বিএনএম প্রার্থী এম এয়াকুব আলী স্হানীয় মানুষের ভালোবাসা দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমি গত ১৮ বছর থেকেই একটা পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করতে মাঠে নেমেছি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে। সরকার বলছে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। বিএনএফ বাংলাদেশে নির্বাচনের সুষ্ঠু ধারা ফিরিয়ে আনতে এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এখনো পটিয়ার মানুষের জন্য পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করে আসছি। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক, কিশোর গ্যাং, গুম, খুন, অপহরণমুক্ত পটিয়া গড়তে আমি কাজ করব। যাতে আমার পটিয়ার মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে। দেশে সব মতের লোক থাকবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে। এ বীর পটিয়া আমার নিজ এলাকা। পটিয়াকে নিয়ে আমার অনেক ভাবনা আছে। অনেক সুনাম ও ঐতিহ্য রয়েছে এ পটিয়ার। মানুষের মৌলিক মানবাধিকার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি রাজনীতিতে যত মানুষের সাথে কথা বলা যায়, অন্য পেশায় তা করা সম্ভব নয়। উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু পটিয়ায় টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে না। উন্নয়নের নামে লুটপাট হয়েছে, হালুয়া রুটির ভাগাভাগি হয়েছে। পরিবারতন্ত্রের মাধ্যমে পটিয়ার মানুষকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে গত ১৫ বছর ধরে। এবার সময় এসেছে পটিয়ার মানুষকে পরিবারতন্ত্রের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দেয়ার।
বিএনএম প্রার্থী বলেন, ২০০৬ সালে ড. কর্নেল অলি আহমদ আমাকে ডেকে নিয়ে মহাজোট থেকে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী করা হয়েছিল। এরপর ২০০৮ সালে ১/১১ নির্বাচনে এলডিপি থেকে জাতীয় সংসদের নির্বাচনে প্রার্থী হই। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে সেই নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যার করে নেয়া হয়। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন বর্জনের কারণে আর দলীয় প্রার্থী হইনি। কিন্তু এবারের ২০২৩ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাসে আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) দল থেকে মনোনয়ন নিয়েছি। আমি আশা করেছিলাম আমার দল এলডিপি থেকে প্রার্থী হওয়ার। কিন্তু দল নির্বাচন বর্জন করার কারণে দল থেকে মনোনয়ন নেয়ার সুযোগ হয়নি। এরপর আমি চেয়েছিলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পটিয়ার মানুষের পাশে থাকার। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তার নিজ এলাকার মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটের নমুনা স্বাক্ষর নিয়ে জমা দিতে হবে। আমি সেই ঝামেলাই না গিয়ে নতুন দল বিএনএম দলের প্রার্থী হয়েছি।
এয়াকুব আলী বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো দিনের ভোট আর রাতে হওয়ার সুযোগ নেই। সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কমিটমেন্ট অনুযায়ী এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই আশ্বাসে আমি পটিয়াবাসীর সাথে সুখ দুঃখের সারথি হওয়ার জন্য নির্বাচনের মাঠে নেমেছি। পটিয়ার দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। সাধারণ মানুষ চাই পরিবর্তন আমি সেই পরিবর্তনের স্বপক্ষে আগামী নির্বাচনে আমার নোঙ্গর প্রতীকে ভোট চাই। আমি এ নির্বাচনে শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত লড়ে যাব। অনেকেই বলছেন পটিয়ায় দুইজন হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে মাঠে থাকতে পারব কি না। আমি এ ব্যাপারে আপনাদের আশ্বস্ত করছি আমি নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে যাবো না। আগামী ২০ ডিসেম্বর বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রায় সবার উপস্থিত ও অংশ গ্রহণ কামনা করেন এম এয়াকুব আলী।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজনীতিবিদ আবদুর রাজ্জাক, মনসুর আলম, ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রশিদ, আইয়ুব আলী, আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী, আবুল মনসুর, আবদুর রশিদ, নুরুল আলম, রেজাউল ইসলাম, কানুন, হারুন সওদাগর, জাহাঙ্গীর আলম, নুরুল ইসলাম কোম্পানি, জাহেদুল হক মেম্বার, মাস্টার জাহাঙ্গীর, ফরিদুল আলম, নুরুল হক, মফিজুল হক, পারভেজ, বাবুল,শাহজাহান, শহিদ, আবদুল আলীম প্রমুখ।