[bangla_date] || [english_date]

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি *

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজের পাম্প রুমে কাটিং কাজ করার সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে অগ্নিদগ্ধ ও গুরুতর আহত হয়েছেন ১২ জন শ্রমিক।

শনিবার (৯ সেপ্টম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর তেঁতুলতলা এলাকার সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরীর মালিকানাধীন এস এন করপোরেশন নামের শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজের কাটিং কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। জাহাজটির পাম্প রুমের ভেতরে কাটিং কাজ করার সময় হঠাৎ সেখানে থাকা একটি ট্যাংকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে আগুন ধরে যাওয়ার পাশাপাশি কেঁপে ওঠে কারখানার আশপাশ। এ সময় পাম্প রুমের ভেতরে জাহাজ কাটার কাজ করা ১২ শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জাহাজ কারখানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক জানান,স্ক্র্যাপ জাহাজটি কাটার কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে ছিল। দুপুরে জাহাজের শেষপ্রান্তে থাকা পাম্প রুমের কাটিং কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। এই সময় হঠাৎই পাম্পের ভেতরে থাকা ট্যাংকে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ১২ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। তবে আহতদের মধ্যে কারও অবস্থা গুরুতর নয়। তারপরও আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উক্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন।তিনি জানান,জাহাজভাঙা কারখানায় ট্যাংকি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।এতে ১২ শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হাসপাতালে অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে|

দগ্ধদের কেউই আশঙ্কামুক্ত নন: চিকিৎসক

সীতাকুণ্ডের এসএন শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধ ১০ শ্রমিকের শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাদের কেউই আশঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধদের প্রায় সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তাদের কেউই আশঙ্কামুক্ত নন।

দগ্ধদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের শরীরের ৭০ শতাংশ, আহমেদ উল্লাহর ৯০ শতাংশ, কাশেমের ৩৫ শতাংশ, সাগরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ, আল আমিনের ৮০ শতাংশ, খায়রুলের ৮০ শতাংশ, হাবিবের ৪০ শতাংশ, বরকতের ৫০ শতাংশ, আনোয়ারের ২৫ শতাংশ এবং রফিকের ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

তাদের মধ্যে সাত জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চমেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, তাদের বার্ন আইসিইউ সহায়তার প্রয়োজন হবে- যা চমেকে নেই।