[bangla_date] || [english_date]

নিজস্ব প্রতিবেদক *

চট্টগ্রাম বন্দরের বহি:নোঙ্গরে দুই জাহাজের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সারবাহী জাহাজের আঘাতে ডালবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বন্দরের বহি:নোঙ্গরে আলফা অ্যাংকরেজে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই জাহাজের প্রপেলার আটকে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার পর আটকে যাওয়া প্রপেলার মুক্ত করার পর জাহাজ দুটি নিরাপদ দূরত্বে রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর ২টায় লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ফ্রেন্ডলী আইল্যান্ড আগে থেকেই আলফা অ্যাংকরজে অবস্থান নিয়ে মশুর ডাল খালাস করছিল। আর ড্যাপ সার বহনকারী পানামার পতাকাবাহী জাহাজ নাভিওস সেলেসটিলার অবস্থান ছিল কুতুবদিয়ার কাছাকাছি। দুপুরে হঠাৎ করে নাভিওস সেলেসটিলা ছুটে এসে ফ্রেন্ডলী আইল্যান্ডকে ধাক্কা দেয়। এসময় দুটি জাহাজের প্রপেলার আটকে যায়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম বলেন, ‘জাহাজ দুটির প্রপেলার আটকে যাওয়ার পর উভয় জাহাজের ক্যাপ্টেনের সহায়তায় জাহাজ দুটি মুক্ত হয়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এমভি ফ্রেন্ডলী আইল্যান্ড জাহাজের টোটাল শিপিংর এজেন্ট শহীদুল ইসলাম বলেন, আমাদের জাহাজটি অস্ট্রেলিয়া থেকে ২৭ হাজার ২১০ টন মসুর ডাল নিয়ে গত ১৪ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। আসার পর থেকে অনুকূল পরিবেশে ডাল খালাস করা হচ্ছিল। বর্তমানে বাকি রয়েছে আরো ২৮৩০ টন ডাল। আমাদের নোঙ্গর করা জাহাজে এসে ধাক্কা দেয় ড্যাপ সারবহনকরী পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি। এতে আমাদের জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে শুনেছি।

নোঙ্গর করা অপর জাহাজে ধাক্কা দেয়ার কথা জানান পানামার পতাকাবাহী নাভিওস সেলেসটিলা জাহাজের শিপিং কোম্পানি টোটাল শিপিং এর আজাদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘শুনেছি আমাদের জাহাজটি ডালবাহী অপর একটি জাহাজকে ধাক্কা দিয়েছে। আমাদের জাহাজে ৪৩ হাজার ৭৫৫ টন সার ছিল।’

উল্লেখ্য, পণ্যবাহী জাহাজগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের বহি:নোঙ্গরে এসে লাইটার জাহাজে ( ছোটো জাহাজ) পণ্য খালাস করে। সেই লাইটার জাহাজে করে পণ্য নৌ পথে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যায়। আবার কখনো কখনো কর্ণফুলী নদীর ঘাটগুলোতে নিয়ে আসা হয়।