[bangla_date] || [english_date]

নিজস্ব প্রতিবেদক *

আফগানিস্তানের আজমতুল্লাহ ওমরজাইর অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বিপিএল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টানা দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ পেয়েছে সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স।

মঙ্গলবার নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে রংপুর ৮ রানে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। ওমরজাই ব্যাট হাতে ২০ বলে অপরাজিত ৩৬ রান করার পর বল হাতে ২ উইকেট নেন। খবর বাসস।

এই জয়ে ৫ ম্যাচে ৩ জয় ও ২ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠলো রংপুর। ৪ ম্যাচে দ্বিতীয় হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে থাকলো কুমিল্লা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে উইকেট হারায় রংপুর। একটি করে চার-ছক্কায় শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রান্ডন কিংকে ১৪ রানে ফিরিয়ে দেন কুমিল্লার স্পিনার তানভীর ইসলাম।

কিং ফেরার পর আরেক ওপেনার বাবর আজমকে নিয়ে রংপুরের রানের চাকা সচল রাখেন তিন নম্বরে নামা ফজলে মাহমুদ। ওয়ানডে মেজাজে খেলা বাবরকে ১১তম ওভারে বোল্ড করেন পাক স্পিনার খুশদিল শাহ।

স্বদেশির শিকার হওয়ার আগে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৬ বলে ৩৭ রান করেন বাবর। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৬ বলে ৫৫ রান যোগ করেন ফজলে-বাবর।

বাবরের পর মারমুখী মেজাজে থাকা মহিমুদকে হারায় রংপুর। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২১ বলে ৩০ রান করে পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের শিকার হন মাহমুদ।

চার নম্বরে নামা শামিম হোসেন ১৪ রানে আউট হওয়ার পর  পঞ্চম উইকেটে কুমিল্লার বোলারদের উপর চড়াও হন দুই আফগানিস্তানি ওমরজাই ও মোহাম্মদ নবি। মুস্তাফিজের করা ১৮তম ওভারে ওমারজাইর ২টি ছক্কা ও ১টি চারে ২১ রান পায় রংপুর।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার রেমন রেইফারের করার ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে ১টি করে চার-ছক্কা মেরে তৃতীয় বলে আউট হন ৭ বলে ১৩ রান করা নবি। ওমরজাই-নবি  ১৪ বলে ৩৫ রান যোগ করেন ।

শেষ ৯ বলে ২১ রান তুলে রংপুরকে ৫ উইকেটে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দেন ওমরজাই ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। শেষ ৫ ওভারে ৬৮ রান তুলে রংপুর।

৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ওমরজাই ২০ বলে অপরাজিত ৩৬ এবং সোহান ১টি করে চার-ছক্কায় ৬ বলে অনবদ্য ১৫ রান করেন। কুমিল্লার রেইফার ২টি উইকেট নেন।

১৬৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারে ওমরজাইর বলে খালি হাতে সাজঘরে ফিরেন কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস।

শুরুতে অধিনায়ককে হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে ৫৬ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে কুমিল্লাকে ভালো অবস্থায় রাখেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।