গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৩০ কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন এগিয়ে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান পিছিয়ে রয়েছেন সাড়ে ১৭হাজারের বেশি ভোটে।
দেশের সবচেয়ে বড় সিটি করপোরেশন গাজীপুরে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ শেষে চলছে গণনা। ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫০ কেন্দ্রের ফলে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের জায়েদা খাতুন পেয়েছেন এক লাখ ৮০ হাজার ৮৭৮ ভোট। আর নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন এক লাখ ৬৩ হাজার ৩৭৮ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় সব কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়, চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। শুরুর দিকে কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
নির্বাচনে সহিংসতার কোনও খবর পাওয়া না যায়নি। প্রথমবারের মতো ইভিএমে কম সময়ে ভোট দিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন গাজীপুরের ভোটাররা। তবে কিছু কিছু কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে অনেকের আঙ্গুলের ছাপ মিলতে দেরি হয়েছে।
ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ নিয়েও নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন ভোটাররা। তারা বলছেন, কেন্দ্রে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনের ফল যা হোক প্রার্থীরা মেনে নেবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ছিল না কোনো অভিযোগ।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ভোট পড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি।
সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আটজন প্রার্থী। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী লড়ছেন। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৬৩ জন।