চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চসিক সেবকেরা নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখে বলেই আমরা পরিচ্ছন্ন নগরীতে বাস করতে পারছি। সেবকদের যেভাবে মানুষ হিসেবে দেখা উচিত সে দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয় না-যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। সাবেক সফল মেয়র মরহুম এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী একমাত্র ব্যক্তি যিনি হরিজন সম্প্রদায়কে সেবক উপাধি দিয়ে মূল্যায়ন করেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছা ও প্রণোদনায় নগরীর পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য বাসযোগ্য অত্যাধুনিক আবাসন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ সমাজের কর্মজীবী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বাসস্থানের মৌলিক অধিকার পূরণের একটি ভিত্তিসোপান। এরই ধারাবাহিকতায় বান্ডেল সেবক কলোনীতে ৩টি ১৪তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি সেবকদের দায়িত্ব পালনে আরো বেশি মনোযোগী হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বান্ডেল সেবক কলোনীতে নির্মিতব্য বহুতল ভবনের কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
এ সময় উপস্থিতি ছিলেন, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকী সেন গুপ্ত, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মুনিরুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরহাদুল আলম, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী, মেয়র আরো বলেন, এক সময় বান্ডেল কলোনীটি ময়লার স্তুপসহ দুর্গন্ধময় স্থান ছিল। এখন সেবকরা তাদের জীবনমান ও স্বাস্থ্যগত দিক নিয়ে সচেতন হওয়ায় সম্পূর্ণ এলাকাটি উন্নত ও পরিচ্ছন্ন এলাকায় পরিণত হয়েছে। ৩টি বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে এটি একটি অনন্য রূপ লাভ করবে। তিনি প্রায় ১০০কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ লক্ষ ৭০ হাজার ৪ বর্গফুট এলাকায় ৫৫৯টি পরিবারের জন্য নির্মিত এ ভবনগুলোতে যে কয়টি ইউনিটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে সে সমস্ত ইউনিট সেবকদের পর্যায়ক্রমে প্রদানের এবং কাজের গতি বৃদ্ধি করে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেন।
সাগরিকা রোডের অবৈধ কাঁচাবাজারসহ দুই শতাধিক দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার নগরীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। চসিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী বাংলাদেশ ও ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলা উপলক্ষে নগরের সাগরিকা রোডের অবৈধ কাঁচাবাজার ও শিল্প এলাকাসহ সাগরিকা স্টেডিয়াম পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্বের দুই শতাধিক দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ করে রাস্তা ও ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়। এই সময় রাস্তায় দোকানের মালামাল রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু পূর্বক ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে অংশ নেন সিটি মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম। অভিযানকালে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা প্রদান করেন।
