চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্যে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং আলোকিত মানুষ গড়ায় প্রত্যয়ে সুশিক্ষার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার লক্ষ্যে গঠিত হলো ৭১সদস্যবিশিষ্ট ‘সীতাকুণ্ড হেলথ্ এন্ড এডুকেশন ট্রাস্ট’। এটির প্রথম সভা শুক্রবার (১৭জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হালিশহর ক্যাপটেইন ডাইন রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়।
শিল্পপতি মাস্টার আবুল কাশেম এর সভাপতিত্বে এবং সংগঠক লায়ন মো. গিয়াস উদ্দিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ট্যুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল আইজিপি মোহাম্মদ মুসলিম, মোহাম্মদী গ্রুপ এর পরিচালক জসিম উদ্দিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা বখতেয়ার উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড.শফিউল আলম, ইঞ্জিনিয়ার মেজবা উল আলম,ইপসার প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান, অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার আহমেদ মিলন, সাবেক কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম, ড. মো. মনোয়ার হোসেন (মনওয়ার সাগর), শিল্পপতি লায়ন আকবর আলী চৌধুরী খোকন . মনোয়ারুল হক এফসিএমএ, ক্যাপটেন তানভীর মো. নাফিউল হোসেন, হাজী মো. মহিউদ্দিন, শহীদ উল্যাহ মানিক, আবুল খায়ের মো. ওয়াহিদী, আবুল বশর ভূঁইয়া, হাজী মো. ইউসুফ শাহ।

জুম এর মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. ফসিউল আলম, অধ্যাপক মোহাম্মদ জানে আলম, প্রফেসর ডা. এ কে হানিফ চৌধুরী, মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া,ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুদ্দোজা প্রমুখ।
অনুষ্ঠান আয়োজনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সীতাকুণ্ড সমিতি,চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মানিক।
সীতাকুণ্ডের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তথা সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রথম কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘সীতাকুণ্ড ডায়াবেটিস ও জেনারেল হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছেন ট্রাস্টি সদস্যরা।
সীতাকুণ্ডের মানুষের মৌলিক চিকিৎসা চাহিদা পূরণ,ডায়াবেটিকস সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল, অসংক্রামক রোগগুলোর ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধে ব্যাপক উদ্যোগ, পুষ্টি উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য অবকাঠামো নির্মাণ, কম খরচে এবং স্বল্প মূল্যে স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদান, এসব ছিল আলোচনার মূল বিষয়।
বক্তারা বলেন , চিকিৎসাসেবাকে সীতাকুণ্ডের জনগণের একেবারে দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ায় আমাদের স্বপ্ন।সুবিধাবঞ্চিতদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবাপ্রাপ্তির চাহিদা পুরণ করে রোগের প্রাদুর্ভাব ও মৃত্যুহার হ্রাস এবং শিক্ষা -স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন এবং আলোকিত মানুষ গড়ায়-ই হবে ‘ সীতাকুণ্ড হেলথ ও এডুকেশন ট্রাস্ট’ এর মূল লক্ষ্য।
এজন্য সীতাকুণ্ডের উদার চিত্ত ও মুক্তমনা মানুষদের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে বলে বক্তারা মত ব্যক্ত করেন।। বক্তারা আরও বলেন, আমাদের ব্যক্তিগত মতাদর্শ যাই হোক না কেন ‘ সীতাকুণ্ড হেলথ এন্ড এডুকেশন ট্রাস্ট’ একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।দলমতের ঊর্ধ্বে ওঠে এই প্রতিষ্ঠানে সকল ট্রাস্টি সদস্য তাদের সেরাটুকু দেয়ার চেষ্টা করবেন।
আলোচনায় সর্ব সম্মতিক্রমে ট্রাস্টি মাস্টার আবুল কাশেম কে চেয়ারম্যান ও ট্রাস্টি মো. গিয়াস উদ্দিনকে প্রধান নির্বাহী করে ১১ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এ ছাড়া ইপসার প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমানকে প্রধান করে এবং ইঞ্জিনিয়ার মেজবা উল আলম, মো. খোরশেদ আলম, ড.মনওয়ার সাগর ও মো. মনোয়ারুল হককে সদস্য করে ‘ সীতাকুণ্ড হেলথ এন্ড এডুকেশন ট্রাস্ট’ এর গঠনতন্ত্র রিভিউ কমিটি গঠন করা হয়।