নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয় উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার দর্শন অনুসারে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীর অর্থনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের নতুন ধারা সুচিত করেন।
বৃহস্পতিবার (১ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমী কাউন্সিল কক্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও নারী ক্ষমতায়ন শীর্ষক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিটি মেয়র বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৫১ভাগ নারী। সমাজকে প্রগতির পথে এগিয়ে নিতে হলে নারী প্রকৌশলীদের ভূমিকা রাখতে হবে। বর্তমান সরকার প্রধান ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রাণয় করে জাতীয় সংসদের স্পিকার পদে একজন নারীকে নির্বাচিত করেন। জননেত্রী শেখ হাসিনাই প্রথম তার মন্ত্রীসভায় প্রথম স্বরাষ্টমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সংসদ উপনেতা, বিচার বিভাগ ও সামরিক বাহিনী, বিমান বাহিনী পাইটল পর্যন্ত বাঙ্গালী নারীদের স্থান করে দিয়েছেন। এমনকী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছেন।তিনি বলেন, নারীকে সুদুর প্রসারী ক্ষমতাবান করার মেয়েদের দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষার ব্যবস্থা করেন, সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা। সর্বক্ষেত্রে সন্তানের পরিচয় ও নিবন্ধনে বাবার নামের পাশাপাশি মায়ের নামও যুক্ত করা হয়েছে তাঁর আমলে। এছাড়া নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে কোনো প্রকার জামানত ছাড়াই সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা এস.এম ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একারণে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য গ্লোবাল উইসেন্স লিডারশীপ, প্ল্যান্টে ফিকটি ফিটি চ্যাম্পিয়ন এজন্ট অব চেঞ্জসহ নানাবিধি সম্মাননা অর্জন করেছেন, এই কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নের অন্যতম পুরোধা হিসেবে আজ বিশ্ব খ্যাতির অধিকারী।

অধ্যাপক ড. রোকসানা খাতুনের সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক নাহিদা সুলতানার সঞ্চালনায় গেস্ট অব অনারের বক্তব্য রাখেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. আয়শা আক্তার, শিক্ষকদের পক্ষে অধ্যাপক তাহমিনা আক্তার, অধ্যাপক রাজিয়া সুলতানা, অধ্যাপক ড. ফারজানা যুথি, ডেপুটি রেজিস্টার নাজনিন আকতার, টেকনিশিয়ান প্রিয়াঙ্কা বড়ুয়া, শিক্ষাথীদের পক্ষে ঐশী সরকার। মেয়র আরো বলেন, জাতির জীবনে আবারো এসেছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর কোটি মানুষের হৃদয়ে আসে প্রেরণা প্রতিজ্ঞার বার্তা নিয়ে। প্রতিকুল পরিস্থিতিকে পরাজিত করে সুন্দর সত্যের পথে সঞ্জীবনী শক্তি নিয়ে আসে ডিসেম্বর। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা শহর থেকে রাতে তৎকালিন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বর্তমান চুয়েট) এসে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা নিতাম। যুদ্ধে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অনেক শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরেছে।
আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশের পথে রয়েছে। বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতির পাশাপাশি সামাজিক রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক প্রতিটি ক্ষেত্রে ঘটেছে অবিশ্বাস্য পরিবর্তন। উন্নয়নের মহাসড়কে আমাদের গতি এখন অপ্রতিরোধ্য বদলে যাওয়া এই বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও ঘটেছে প্রশ্ননাতীভাবে। তিনি বলেন, নারীর চুড়ান্ত স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়নে আমাদের এখন ও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সামনে যে রূপকল্প উপহার দিয়েছেন তাতে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই। অর্থনৈতিক সমাজিক মুক্তির পাশাপাশি আমরা নারীমুক্তি সর্বোপরি মানবমুক্তি ঘটানোর লড়াইয়ের জন্য এখন পুরোপুরি তৈরী। গেস্ট অব অনার চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের জন্য বহুমাতিক প্রকল্প গ্রহণ ও সেগুলো বাস্তবায়ন করছে সরকার কয়েক দশক আগেও বলতে গেলে ঘরবন্দী নারী এখন অর্থনীতি-রাজনীতির বলিষ্ঠ নিয়ন্ত্রক।