নিজস্ব প্রতিবেদক *
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম বলেছেন-ধর্মীয় মর্যাদায় পরিপূর্ণ শান্তি-শৃংখলা ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দূর্গোৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। সোমবার সকালে নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর নেতৃবৃন্দ, নগরীর ১৬ (ষোল) থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন-চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনিষা মহাজন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, শাহরিন ফেরদৌস, রক্তিম চৌধুরী, মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এসি ট্রাফিক মো. দেলোয়ার হোসেন, পিডিবি’র উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সাঈদ ইকবাল পারভেজ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি আশুতোষ দে, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন-বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এই সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। বিগত বছরগুলোর ন্যায় শারদীয় দূর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষে পূজা মন্ডপে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, আলোকায়ন, পানীয়-জলের ব্যবস্থা এবং পূজার্থীদের নিরাপত্তাসহ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিমা নিরঞ্জনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। শারদীয় দূর্গাৎসব চলাকালে আপনাদের সার্বিক সহযোগিতায় এই চট্টগ্রামকে সম্প্রীতির শহর হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর। তিনি মন্ডপে পূজা চলাকালে ভক্ত ও পূজারীদের সুবিধার্থে শান্তি শৃংখলা রক্ষায় সতর্ক থাকতে আয়োজকদের প্রতি আহ্বান জানান।
চসিক প্রশাসকের সাথে ECHO ( Eurepoean Civil Protection and Humanitarian Aid Operations), Save the Children and YPSA প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎ
চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলার পাহাড়ধ্বসজনিত ঝুঁকি হ্রাসের জন্য বাস্তবায়নাধীন ঊঈঐঙ এর আর্থিক সহযোগিতায় চলমান প্রকল্প “Anticipatory Action for Landslides causing displacement for communities in Chattogram and Bandarban Districts in Bangladesh” এর ফিল্ড ভিজিটের অংশ হিসেবে স্টেকহোল্ডার পর্যায়ে একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে চসিক প্রশাসক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো: তোফায়েল ইসলাম চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রেক্ষিতে পরিবেশগত বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবেলা করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। বর্তমানে জলবদ্ধতা, পয়:নিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ভূমিধ্বস আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ৷ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আমরা বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। বিশেষ করে জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করছি আমরা।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য পাহাড়ধ্বস ঝুঁকির ক্ষেত্রে কমিউনিটি পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, পূর্বাভাস ভিত্তিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি এবং জাতীয় পর্যায়ে একটি পূর্ণাঙ্গ “Landslide Early Action Protocol” তৈরির প্রস্তাবনা উত্থাপন করা। প্রস্তাবিত এই প্রটোকলটি জনগণের মতামত ও সরাসরি অংশগ্রহণের ভিত্তিতে তৈরি করা হবে, যা পাহাড়ধ্বসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
সভায় উপস্থিত ব্যক্তিরা প্রকল্পটির নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং এর মাধ্যমে কিভাবে পাহাড়ধ্বস প্রতিরোধে পূর্বাভাসভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় তা তুলে ধরেন। সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, ইউরোপীয় সিভিল প্রটেকশন অ্যান্ড হিউম্যানিটেরিয়ান এইড অপারেশনস (ECHO) এর আঞ্চলিক থিমেটিক বিশেষজ্ঞ ডেভিড জাপা, প্রধান আঞ্চলিক কর্মকর্তা আনা অরল্যান্ডিনি এবং প্রোগ্রাম অফিসার মোকিত বিল্লাহ। এছাড়াও সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের হিউম্যানিটেরিয়ান ডিরেক্টর মো. মোস্তাক হোসেন, সিনিয়র ম্যানেজার মোহাম্মদ সাইমন রহমান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, মেহেরুন্নেসা ফাতেমা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাভেদ মিয়াঁদাদ, অফিসার মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, দূর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক আন্তজার্তিক সংগঠন জওগঊঝ এর কান্ট্রি লিড রাইহানুল হক খান, ইপসার পরিচালক নাসিম বানু, প্রোগ্রাম ম্যানেজার সানজিদা আক্তার, প্রবাল বড়ুয়া এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এই প্রজেক্টটি ভবিষ্যতে পাহাড়ধ্বসের পূর্বাভাস প্রদান ও কমিউনিটি ভিত্তিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।