বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে,রাজনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে, দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
শনিবার (১২ নভেম্বর) ফরিদপুরে ফরিদপুর শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে কোমরপুর আব্দুর আজিজ ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এই বাংলাদেশ চাইনি, আমরা চাইনি আমার ছেলেরা পড়াশোনা শেষ করে হকারি করবে, মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করবে, ভালো চাকরির ব্যবস্থা তাদের হবে না।’

তিনি বলেন, ‘এ সরকারের সময়কালে ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। দেশের ৪২ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। বলা হয়েছিল ১০ টাকা সের চাল খাওয়াবে, ঘরে ঘরে চাকরি দেয়া হবে, বিনামূল্যে সার দেবে- তার কিছুই হয়নি।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘অচিরেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে। অতীতে যেমন কোনও স্বৈরাচার সরকারই দমন-পীড়ন চালিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারেনি, বর্তমান ক্ষমতাসীনরাও গায়ের জোরে ক্ষমতা রাখতে পারবে না। পতন তাদের হবেই।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ফরিদপুরের সমাবেশ পণ্ড করতে তিন দিন আগে থেকেই বাস মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তাতে কী হয়েছে? জনগণকে তো সমাবেশে আসা আটকাতে পারেনি। তারা সমাবেশে ছুটে এসেছে। পথে পথে সিকিউরিটি বসিয়েছে, তবুও বাংলার মানুষ বাধা উপেক্ষা করে চলে এসেছে।’
ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এস এম কাইয়ুমের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাশুকুর রহমান, ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ প্রমুখ।
বর্তমান সরকারের নানা ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, ‘দেশে-বিদেশে যখন আওয়ামী সরকারের বর্বর শাসনের বিরুদ্ধে ধিক্কার উঠেছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের যখন নাভিশ্বাস অবস্থা, তখন সরকার হতাশ হয়ে পড়েছে। তারা এখন পাগল হয়ে গেছে। আপনারা ফরিদপুরের মানুষ আজ দেখিয়ে দিয়েছেন। ফরিদপুরের মাটি বিএনপির ঘাঁটি। ২০১৪ সালে যে নির্বাচন হয়েছিলো তাতে কি আপনার ভোট দিতে পেরেছেন? ২০১৮ সালে আরেকটা নির্বাচন হয়েছে, সেটাতেও আপনারা ভোট দিতে পারেননি, কারণ আগের দিন রাতেই তারা সিল মেরে নিয়েছে। এভাবে চললে হবে না। আজকের তরুণ সমাজ ইস্পাতের মতো রুখে দাঁড়াতে হবে।’