দ্রুততম সময়ে পদক্ষেপ নেয়ায় এক মাসের মধ্যে চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) গত ৩০ বছরে রেকর্ড বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কসমূহ পরিদর্শন করেন মেয়র। মেয়র কালুরঘাট ফেরিঘাট পরিদর্শনে গিয়ে দুটি ফেরির মধ্য একটা নষ্ট হওয়ায় জনভোগান্তিতে থাকা নাগরিকদের সাথে কথা বলে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জনস্বার্থে দ্রুত আরেকটি ফেরি চালু করার নির্দেশ প্রদান করেন।
এসময় মেয়র বলেন, পানি নামার সাথে সাথে দ্রুততম সময়ে আমরা নগরীর ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের পরিমাণ নির্ধারণে জরিপ চালিয়ে জেনেছি নগরীতে ৫০ দশমিক ৭০ কিলোমিটার সড়ক, ২ দশমিক ১৯৯ কিলোমিটার নর্দমা, ১ দশমিক ৯৯৩ কিলোমিটার ফুটপাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা মেরামতে অন্তত ৫৯ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। আশা করছি এক মাসের মধ্যে নগরীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে।
জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত নগরবাসীকে ত্রাণ দিলেন মেয়র

রেকর্ড বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের মাঝে ত্রাণ দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
শুক্রবার(১১ আগস্ট) বিকেলে ৬নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড ও ৫নম্বর মোহরা ওয়ার্ড ত্রাণ বিতরণ করেন মেয়র। এসময়, সামর্থ্যবান নাগরিকদের ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের পাশে দাড়ানোর আহবান জানিয়ে মেয়র বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তায় ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মেয়র হিসেবে কাউন্সিলরদের নিয়ে যতটা সম্ভব মানুষদের পাশে দাড়াচ্ছি। সামর্থ্যবান নাগরিকদের প্রতি আহবান আপনারাও মানবসেবার এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেননা। কষ্টে থাকা মানুষদের খাবার ও অর্থসহায়তা দিন, আসুন সকলে মিলে গড়ে তুলি মানবিক পরিবেশ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম, কাউন্সিলর লায়ন এম আশরাফুল আলম, কাজী নুরুল আমীন, এস এম আনোয়ার মীর্জা, মো. ফারুক, নুরুল ইসলাম, ওলিদ চৌধুরী, সেকান্দর হোসেন, হানিফ খান, আবুল কাশেম বাদশা, শেখ আহম্মদ, কফিল উদ্দিন।
এছাড়া এদিন মেয়রের পক্ষে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ বিতরণ করেন কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, নুরুল আমীন, মো. নুরুল আলম মিয়া, আবদুস সালাম মাসুম।