২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ৭ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

বেশ কিছুদিন যাবত বাজারে আছে ইনফিনিক্সের স্মার্টফোন হট ৩০। উদ্ভাবনী ডিজাইন, সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং অন্যান্য স্পেসিফিকেশনেরকারণে এরই মধ্যে ফোনটি গ্রাহকদের নজর কেড়েছে। ব্যবহারকারীরাও অন্যদের এই ফোন ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে ৩টি বিশেষ কারণে এই ফোনটি গেমিং ফোন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

প্রথমত, ইনফিনিক্স হট ৩০ ফোনে আছে শক্তিশালী গেমিং প্রসেসর হেলিও জি৮৮। মিডিয়াটেকের এই প্রসেসরের সাহায্যে গেমিং অভিজ্ঞতা নিখুঁত করেছে এই ফোনটি। কোম্পানিটির তথ্যমতে, জি৮৮ থেকে অ্যাপ এবং অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারে পূর্ণ অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে, যদি ফোনে উপযুক্ত ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়। দ্রুতগতির ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে যেখানে গেম চেঞ্জার।

গ্রাহকদের এই পূর্ণ অভিজ্ঞতা প্রদানেরউদ্দেশ্যে ইনফিনিক্সের ফোনটিতে আছে ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ৬.৭৮ ইঞ্চিপার ফোরেটেড স্ক্রিন। ১০৮০পি হাই রেজোলিউশনের এই ডিসপ্লের টাচ স্যাম্পলিং রেট ২৭০ হার্জ। এর ফলে র‌্যাপিড মাইক্রো-অপারেশনের সময় টাচ রেসপন্সে দারুণ স্বচ্ছতা ও কার্যকরিতা পাওয়া যায়। এর ফলে গেম খেলার জরুরি মুহূর্তে স্মার্ট ফোন গেমাররা প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে পারেন।

স্মার্টফোন গেমিংয়ের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ব্যাটারির সক্ষমতা। এক্ষেত্রে ইনফিনিক্স হট ৩০ অনেক এগিয়ে। এই ফোনে আছে ৫০০ এমএএইচ-এর একটি ব্যাটারি। যা ৫% চার্জেও দুইঘণ্টা পর্যন্ত চলে। এছাড়াও, ফোনটিতে ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি থাকার ফলে মাত্র ৩০ মিনিটেই এটি ৫৫% পর্যন্ত চার্জ তুলতে পারে।

দীর্ঘ সময় ধরে গেম খেলার জন্য এবং অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার ব্যাটলে অংশ নেয়া গেমারদের জন্য হট ৩০ এর ফিচারগুলো বিশেষভাবে সুবিধাজনক। ফোনটির ৪+১২৮ জিবিএবং ৮+১২৮ জিবি-র দু’টিভ্যারিয়্যান্টপাওয়া যাচ্ছে রেসিং ব্ল্যাক, সনিক হোয়াইট ও সার্ফিং গ্রিন- এই তিনটি রঙে। শক্তিশালী প্রসেসর, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং উন্নত গেমিং প্রযুক্তির হট ৩০ ফোনের দাম শুরু হয়েছে ১৪,৯৯৯ টাকা থেকে।

ইনফিনিক্স:

ইনফিনিক্স মোবিলিটি একটি উদীয়মান প্রযুক্তি ব্র্যান্ড। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের আওতায় বিশ্বজুড়ে অনেক ধরনের ডিভাইস ডিজাইন, প্রস্তুত ও বাজারজাত করে থাকে কোম্পানিটি। আজকের তরুণদের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ডিভাইস প্রস্তুত করা তাদের মূল লক্ষ্য। এই ফোনগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য চমৎকার স্টাইল, পাওয়ার ও পারফরম্যান্স। ইনফিনিক্সের ট্রেন্ডিডিভাইসগুলো ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়।

“ভবিষ্যৎ আমাদের হাতের মুঠোয় (দ্য ফিউচার ইজ নাও) ”  মূলমন্ত্র নিয়ে ইনফিনিক্স আজকের তরুণদের স্বকীয়তা তুলে ধরার জন্য অনুপ্রাণিত করতে চায়। আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৪০টির বেশি দেশে এই কোম্পানির পণ্য বিক্রি করা হয়। বিস্ময়কর গতিতে বিস্তার ঘটছে ইনফিনিক্সের। ২০১৯-২০২১ সালে কোম্পানিটির অভূতপূর্ব ১৫৭% প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। চমকপ্রদ ডিজাইন ও দারুণমানের ফ্ল্যাগশিপ-লেভেল ডিভাইস প্রস্তুত করা চালিয়ে যাওয়ার বড় পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে।