বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাত ৩টার পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে তার উত্তরের বাসা থেকে এবং ৩টা ২০ মিনিটে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যায়।
মধ্যরাতে কমলাপুর স্টেডিয়াম ও মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠ পরিদর্শন শেষে বাসায় ফেরেন মির্জা আব্বাস।
বাসায় যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দুই মাঠ পরিদর্শন করেছি। আগামী ১০ ডিসেম্বর যেকোনো মূল্যে সমাবেশ হবে। সারা দেশের নেতাকর্মীদের দ্রুতই সমাবেশের স্থান জানিয়ে দেয়া হবে। স্থায়ী কমিটি ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব কোথায় সমাবেশ হবে। এরপর চূড়ান্ত স্থান নির্ধারণ সম্পর্কে জানানো হবে।’
এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে বিএনপির প্রতিনিধিদল ডিএমপি সদর দফতরে যান। পরে তারা ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন তারা।
বৈঠকে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করার জন্য রাজধানীর কমলাপুর স্টেডিয়াম মাঠের জন্য অনুমতি চান বিএনপি নেতারা।
তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বিএনপিকে মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজ মাঠে গণসমাবেশ করার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়।
বিএনপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
বৈঠক শেষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যন বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘সমাবেশ করার জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে ভেন্যু হিসেবে মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে আমরা কমলাপুর স্টেডিয়াম মাঠে সমাবেশ করার কথা বলেছি। তবে আজ রাতেই দুই মাঠ পরিদর্শন করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’