১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

পাক-ভারত ফাইনাল হলো না। আলেক্স হেলস ও জশ বাটলার ঝড়  দেখা মিলল সিডনিতে । যে ঝড়ে রীতিমতো উড়ে গেল ভারত। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ বৃহস্পতিবার রোহিত শর্মাদের ১০ উইকেটে উড়িয়ে ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। আগামী ১৩ নভেম্বর মেলবোর্নে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে ইংল্যান্ড মোকাবিলা করবে পাকিস্তানের।

আগে ব্যাট করতে নেমে কোহলি ও হার্দিকের ফিফটিতে ৬ উইকেটে ১৬৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ভারত। জবাবে হেলস-বাটলারের আগুনে ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ড লক্ষ্য স্পর্শ করে ৪ ওভার হাতে রেখে, ১৭০/০। তৃতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে এলো ইংল্যান্ড।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ছিল ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার আলেক্স হেলস ও জশ বাটলার। দুজনকে রুখতে পারেনি ভারতীয় কোনো বোলার।

.৫ ওভারে ৫০ রান করা ইংল্যান্ড শত রান পূর্ণ করে ১০.১ ওভারে। ২৮ বলে ফিফটি করেন হেলস। বাটলার সেখানে ফিফটি করতে নেন ৩৬ বল।

শেষ অবধি হেলস আর বাটলারকে দমানো যায়নি। দুজনের বিধ্বংসী ব্যাটে রীতিমতো হাঁসফাঁস অবস্থা ছিল ভারতের। ৪ ওভার হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ইংল্যান্ড। ৪৭ বলে চারটি চার ও সাত ছক্কায় সর্বোচ্চ ৮৬ রানে অপরাজিত থাকা হেলস জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সেখানে ৭৪ বলে ৯টি চার ও তিন ছক্কায় ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলার।

এর টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ভারত। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ক্রিস ওকসের শিকার হন ওপেনার লোকেশ রাহুল (৫)। এরপর বিরাট কোহলিকে নিয়ে ভারতকে বড় সংগ্রহের ভিত এনে দেন রোহিত।

দুজনের ৪৭ রানের জুটি ভাঙেন ক্রিস জর্ডান। ২৭ রানে আউট হন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত। ঝড় তুলতে পারেননি সূর্যকুমার যাদব। ফেরেন ১৪ রানে রশিদের বলে সল্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে।

এরপর বিরাট কোহলির ব্যাটে বড় সংগ্রহের পথে আগায় ভারত। ক্যারিয়ারের ৩৭তম অর্ধশতক করে ক্রিস জর্ডানের শিকার হন বিরাট। যাওয়ার আগে করে যান ৪০ বলে ৫০ রানের ইনিংস। বিশ্বকাপে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ১১শ রানের মাইলফলকে পৌঁছান বিরাট। চলমান বিশ্বকাপে চতুর্থ ফিফটি।

শেষ দিকে ওঠে হার্দিক পান্দিয়ার ঝড়। ৩৩ বলে ৬৩ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে শেষ বলে আউট হন তিনি। তার ইনিংসে ছিল চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কার মার। বল হাতে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন ক্রিস জর্ডান। ওকস ও রশিদ নেন একটি করে উইকেট।