১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় তখনই অর্জিত হবে, যখন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারব, এ লক্ষে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করতে হলে তিনি যে শুভ কর্মে এগিয়ে যাচ্ছেন তার পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে বলে উল্লেখ করে সাবেক মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা আজ যাদের সংবর্ধনা দিল, তাঁরা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, তাঁরা হয়তোবা একদিন হারিয়ে যাবে। তাঁদের চেতনা আমাদেরকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে দেশপ্রেম যোগাবে।

শুক্রবার (১৬ডিসেম্বর)বিকালে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার পরিষদের বিজয় মঞ্চের স্মৃতিচরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসবকথা বলেন।

বিজয় মঞ্চে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি সভাপতিত্বে বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ এর সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসিবে বক্তব্য রাখেন-ভারতীয় দূতাবাস চট্টগ্রামের সহকারী হাই কমিশনার ড. রাজীব রঞ্জন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজয় মেলা পরিষদের অর্থসচিব পান্টু লাল সাহা, চট্টগ্রামের বিভাগীয় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট আফিসের পরিচালক মো. আবু সাইদ।

বিশেষ অতিথি ভারতীয় দূতাবাস চট্টগ্রামের সহকারী হাই কমিশনার ড. রাজীব রঞ্জন বলেন, বাংলাদেশ একটি যুদ্ধের মাধ্যমে সম্পুর্ণ বিজয়ী রাষ্ট্র, এদেশের দামাল ছেলেরা (মুক্তিযোদ্ধারা) যুদ্ধের বিনিময়ে বিজয় অর্জন করেছে। এ শক্তিকে কেউ অবধমিত করতে পারবে না। আপনাদের সামনে অপার সম্ভাবনা, যে কোনো মূল্যে এই সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলতে হবে। এই হোক আমার দৃঢ প্রত্যয়।

সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেন, বাংলাদেশ ঘুরে দাড়িয়েছে, করোনাকালের সংকট মোকাবেলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অস্তিত্ব ঠিকিয়ে রেখেছেন। বিশ্ব অর্থ মন্দার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জায়গায় বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত। চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানেই সারা বাংলাদেশের উন্নয়ন। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক যোগাযোগের সেতু বন্ধন, অঞ্চলগত অপার সম্ভাবনাময় এই অঞ্চল। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা স্থাপন করে ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম সারা দেশকে নেতৃত্ব দিবে।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ আয়োজিত বিজয় র্যা লির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধে রনাঙ্গনে কৃতিত্বের সহিত অবদান রাখা সংবর্ধিত অতিথি হিসাবে সম্মাননা প্রদান করা হয় গ্রুপ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জাহাঙ্গীর আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন আচার্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আমিন, গ্রুপ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম মাহবুব উল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল ভুঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৌরেন্দ্র নাথ সেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ এমরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল আহমদ, গ্রুপ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুদ্দিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিক আহমদসহ ১৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধিত ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে বিজয় মঞ্চে মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠান পরিবেশন করেন খ্যাতিমান সংগীত শিল্পি ফকির সাহাবুদ্দিন।

এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় বিজয় মেলা পরিষদ আয়োজিত বিজয় র‌্যালি শিখা প্রজ্জ্বলনের পাদদেশ হতে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে বিজয় মঞ্চে শেষ হয়। বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ার‌ম্যান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নেতৃত্বে বিজয়  র‌্যালি পরিষদের আহবায়ক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী সার্বিক ব্যবস্থাপনায়   র‌্যালিতে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সকল রাজনৈতিক দল, ছাত্র, যুবক, স্বেচ্ছাসেবক, শ্রমিক, পেশাজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মী, নারী-শিশুসহ সরকারি সংস্থা ডিআইজি অফিস, সিএমপি, আরআরএফ, ০৯ এপিবিএন, পিবিআই, ট্যুরিস্ট পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, র‌্যাব-৭, আরএনবি, ব্যাটেলিয়ন আনসার, ফায়ার সার্ভিস, মেরীন একাডেমি, ম্যারিটাইম ইনস্টিটিউট, ডিএনসিসি কর্ণফুলী রেজিম্যান্ট, রেড ক্রিসেন্ট, ওয়াসা, বিদ্যুৎ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। র‌্যালি শেষে বিজয় মঞ্চে বিভিন্ন সংগঠনকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা সদন প্রদান করা হয়।