[bangla_date] || [english_date]

নিজস্ব প্রতিবেদক *

বাড়াইপাড়া খাল খনন কাজ পরিদর্শন করেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী

চট্টগ্রাম নগরীর ৮ ওয়ার্ডের প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে বাড়াইপাড়া খাল খনন কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিত দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বুধবার (১৭ এপ্রিল)সকালে মেয়র খালের বহদ্দারহাট অংশসহ খালের বিভিন্ন অংশের খনন কাজ সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের কাছ থেকে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হন। তিনি আসন্ন বর্ষা মৌসুমে যাতে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে দিক নির্দেশনাসহ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পাদনের তাগাদা দেন।

পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, বারইপাড়া খালের সাথে শুলকবহর, মোহরা, বহদ্দারহাট, বাকলিয়া ও চাক্তাইসহ ৮ ওয়ার্ডের প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দার জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তির বিষয়টি জড়িত। এজন্য দ্রুততম সময়ে এ খাল খননের কাজ শেষ করতে হবে।

এ সময় মেয়রর সাথে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হারুন অর রশীদ, হাজী মো. ইয়াকুব, মো. সেকান্দর মো. বেলাল উদ্দিন, হাজী তৈয়ব, মো. ইসমাঈল হোসেনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি হবে ৬৫ ফুট চওড়া। খালের দুই পাশে ২০ ফুট করে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি রাস্তা হবে এবং ছয় ফুট প্রস্থের দুটি করে ওয়াকওয়ে হবে। খালটি বারইপাড়া থেকে শুরু হয়ে নূরনগর হাউজিং হয়ে, ওয়াইজপাড়া থেকে বলিরহাটের পাশ দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে মিশবে।

এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ১৯৯৫ সালে করা ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যানে নগরের বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খালটি খননের সুপারিশ করা হয়। এর প্রায় দুই দশক পর ২০১৪ সালের জুন মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প অনুমোদন পায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষ হলে ওই এলাকার ২ হাজার ২৬৪ হেক্টর এলাকার পানি নিষ্কাশিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে প্রবাহিত হবে।

ফিরিঙ্গিবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মেয়রের ত্রাণ বিতরণ

ফিরিঙ্গী বাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণ বিতরণ করেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, পাশে   আছেন  চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের উদ্যোগে নগরীর ফিরিঙ্গি বাজার টেকপাড়া ও এয়াকুব নগর বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম  চৌধুরী।

ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডস্থ টেকপাড়া ও এয়াকুব নগর বস্তিতে সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আজ বুধবার সকালে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ১২০টি পরিবারের মধ্যে এসব সামগ্রী বিতরণ করেন। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি তারপলিন, দুইটি স্লিপিং ম্যাট ও একটি  কিচেন সেট।

ত্রাণ বিরতণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় থেকেই চট্টগ্রাম সিটি যুব রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা এখানে কাজ করে যাচ্ছে, ক্ষতিগ্রস্তদের দুঃসময়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে জরুরি সামগ্রী নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও রেড ক্রিসেন্টের সেক্রেটারি আবদুল জব্বার এর সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন পাথরঘাটা ওয়ার্ড কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর লুৎফুন্নেসা দোভাষ বেবী, এইচ এম সালাউদ্দিন, নেছার আহমেদ, মোশরাফুল হক চৌধুরী পাভেল, মো. ইমতিয়াজ, এসএম শওকত ওসমান, বনজীর আহমেদ, রাইসুল ইসলাম এমিল, শহিদুল ইসলাম পিন্টু, আ ন ম তামজীদ, দীপ্ত ভট্টাচার্য্য, মো রকিবুল ইসলাম ও যুব স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ।