১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বুধবার এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয় টাইগাররা। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে শুরু থেকেই নড়বরে ছিলো টিম টাইগার। দলীয় ৪৯রানে হারায় চার উইকেট। শূন্য রানে ফেরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মিরাজ।

মিরাজের আউটের পর আসেন বাংলাদেশের স্যানসেশন ব্যাটার লিটন দাস। ১৩ বল খেলে চারটি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৬ রান করে আফ্রিদির অফ স্ট্যাম্পের বাইরের একটি বল খোঁচা দিয়ে রিজওয়ানের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

লিটন আউট হওয়ার পর এবার নাইমও ফিরলেন। এরপরেই ফিরে গেলেন হৃদয়। দুজনেই শিকার হন রউফের।

দলের হাল ধরেন অধিনায়ক সাকিব এবং মুশফিক। শাদাবকে সুইপ করে চার মেরে দলের ১০০ পূর্ণ করেন মুশফিক। তার আগে সাকিবের সাথে ৫০ রানের জুটি গড়েন। ৫৩ বলে নিজের ৫০ পূর্ন করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু এরপরই ফাহিম আশরাফের ব্রেকথ্রুতে ফিরে যান তিনি।

এরপর দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মুশফিকের সাথে ক্রিজে ছিলেন শামীম। সাকিব ফেরার পর মুশফিকও পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। তারপর ইফতিখারের বলে আগবাড়িয়ে খেলা শটে বল ওপরে উঠিয়ে মিডউইকেটে ইমাম-উল-হককে সহজ ক্যাচ হয়ে ফিরে গেলেন শামীম। ২৩ বলে শামীমের সংগ্রহ ১৬ রান।

সাকিবের পর এবার লড়াই করে ফিরে গেলেন মুশফিকুর রহিম। এরপর একে একে চলে যান তাসকিন,আফিফ ও শরিফুল। ১৯৩ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের পেস আক্রমণের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ সামলাতে পারেনি বাংলাদেশ । রউফ চারটি এবং নাসিম নিয়েছেন তিনটি উইকেট।

বাংলাদেশের দেয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান।  একটু সর্তকভাবেই শুরু করে পাকিস্তান তাদের ইনিংস।

দলীয় ৩৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। এলবিডব্লিউতে ফকরকে ফেরায় শরীফুল। আম্পায়ার ল্যাংটন রুজেরে একটু সময় নিয়েই দিয়েছেন এলবিডব্লিউ। রিভিউ নিলেও কাজে আসেনি সেটি।

এলবিডব্লিউতে ফকরকে শরিফুল ফেরানোর পর তাসকিনের বোল্ডের শিকার হয় বাবর।দলীয় ১৫৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। ৭৮ রানে ইমাম উল হককে ফেরান মিরাজ।

সাকিবের বলে চার মেরে পাকিস্তানের ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে সালমান। ৩৯ ওভার তিন বল খেলে লক্ষ্যে পৌঁছায় তারা।