১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

মহান বিজয়ের মাস বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বগাথা এক অবিস্মরণীয় ।

বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেয় বিজয়ের এ মাসে।

মহান এই বিজয়ের মাসকে বরণ করতে লক্ষীছড়ি  সেজেছে বর্ণিল সাজে। বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে লক্ষীছড়ি উপজেলা প্রশাসন  বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান বিজয়ের মাসকে বরণ করেছে। বাঙালির গৌরবান্বিত এ মাসের বরণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বিশাল জাতীয় পতাকা, কারো হাতে ফেস্টুন-ব্যানার, শিশুদের হাতে ছোটছোট পতাকা, কেউ আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদলে সেজে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) ইশতিয়াক ইমন।

লক্ষীছড়ির ইতিহাসে এটাই ছিল  সর্ববৃহৎ ব্যতিক্রমী আয়োজন-যা ইতিপূর্বে দুর্গম এ পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষ কখনো দেখেননি।তিনি লক্ষীছড়িতে যোগদানের পর থেকেই লক্ষীছড়ির দৃশ্যপট পাল্টাতে শুরু করেছে।

ইউএনও ইশতিয়াক ইমন বলেন- ‘তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি কিন্তু শুনেছে বা বইয়ে পড়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।১৯৭৫ এর পর থেকে ৯৫  পর্যন্ত বিকৃত ইতিহাস জানিয়ে প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে।তাই নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে, তাদেরকে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস জানাতেই এমন আয়োজন।’

তিনি আরও বলেন ‘তারুণ্য একটি প্রাণশক্তি, যা অফুরন্ত সম্ভাবনা ও বর্ণিল স্বপ্ন দ্বারা উজ্জীবিত থাকে। একটি স্ফুলিঙ্গ তারুণ্যকে উদ্দীপ্ত শিখায় পরিণত করতে পারে, যা হয়ে উঠতে পারে নক্ষত্রের মতো সমুজ্জ্বল। তরুণদের স্বপ্নগুলো হবে বাংলাদেশের স্বপ্ন, ভাবনাগুলো হবে বাংলাদেশের ভাবনা, কাজগুলো হবে বাংলাদেশের কাজ। এতেই গড়ে উঠবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, বাস্তবায়িত হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।’

উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির কাছে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা এবং যত দিন বাঙালি জাতি থাকবে, ততদিন এই মুক্তিযুদ্ধই থাকবে শ্রেষ্ঠ গৌরবের অধ্যায় হিসেবে, অবিস্মরণীয় এক গৌরবগাঁথা হিসেবে।তাই আমাদের প্রত্যেকের হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করা উচিত।আজকের তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য দরকার মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তাদের সামনে উপস্থাপন।

সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গিকার ও দৃঢ়তা নিয়ে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান তিনি। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের জন্য তিনি ইউএনও ইশতিয়াক ইমনকে সাধুবাদ জানান।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৯টায় ইউএনও’র কার্যালয় সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়।

শোভাযাত্রাটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক ইমনসহ সব সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান,সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।