নিজস্ব প্রতিবেদক *
বজ্রপাতে নরসিংদী, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও বরগুনায় আট জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে নরসিংদী জেলায় আলাদা স্থানে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আলাদা এ বজ্রপাতের ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে। এছাড়া বজ্রপাতে প্রাণ গেছে বেশ কিছু গৃহপালিত পশুরও।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী উত্তরপাড়া এবং হাজীপুরে বজ্রপাত চারজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- আলোকবালী উত্তরপাড়ার কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৫০), তার ছেলে ইকবাল হোসেন (১২) এবং ধান কাটা শ্রমিক করম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২২)। এ ঘটনায় কামাল মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহত কামাল মিয়া জানান, স্ত্রী, সন্তান ও একজন শ্রমিক নিয়ে সকাল থেকে মাঠে ধান কাটছিলেন। এসময় প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি শুরু হয় এবং হঠাৎ বজ্রপাত হলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
এছাড়া সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চকপাড়ায় বজ্রপাতে মোছলেহউদ্দিন (৫০) নামে আরেক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ জানান, নিহতরা সবাই ধান কাটার জন্য কৃষি জমিতে অবস্থান করছিলেন। এসময় বিকট শব্দে বজ্রপাতের ঘটরা ঘটলে শরিফা বেগম এবং তার ছেলে ইকবাল ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে আনার পথে মারা যান কাইয়ুম নামের অপরজন। এতে কামাল হোসেন নামে আহত আরেকজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া হাজীপুরে বজ্রপাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে গাজীপুরের শ্রীপুরে ধান শুকানোর সময়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ফাতেমা নামের এক নারীর।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানায়, সকালে ফাতেমা বাড়ির পাশে ধান শুকানোর জন্য বসেছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতের তিনি ঘটনাস্থলে ঝলসে যান। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে ধান কাটতে গিয়ে নিহত হয়েছেন দুই ভাই আমির হোসেন ও আফজার হোসেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বরগুনায় মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে আসাদুল নামে এক জেলে বজ্রপাতে মারা গেছেন।
শনিবার বিকালে জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠাতলী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় তার আট বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ আহত হয়েছে। নিহত আসাদুল কাঠাতলী এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে।
স্বজনদের বরাত দিয়ে পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সাইফুজ্জামান জানান, বিকালে হঠাৎ ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে বাড়ির সামনের মাঠে গরু আনতে যায় আসাদুল ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ। গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ তাদের উপর বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে আসাদুলের মৃত্যু হয়। মারা যায় দুটি গরুও, আহত হয় ছেলে।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।