১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দুটি টিউবের একটি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে আয়োজিত উৎসবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রথম টিউব উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশিদের কাছে হাত পেতে নয়, মাথা উঁচু করে চলবে বাংলাদেশ। এ দেশে আর দারিদ্র থাকবে না। এখন আর কাউকে খাবারের জন্য হাহাকার করতে হয় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বলেন, করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা চলছে। বাংলাদেশেও এর থেকে দূরে নয়। তাই আমাদের জমি ও জলাশয়গুলো যেন খালি না থাকে। যাই খালি আছে, সব জায়গা থেকেই উৎপাদন করতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের যা আছে তা নিয়েই চলতে হবে। কারও কাছে হাত পাতবো না।  বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হলে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। এ সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন শেখ হাসিনা।

আওয়াম লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন,১৯৭৫-এর পর ২১ বছর, ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল-এই ২৯ বছর বাংলাদেশ কেন উন্নতি করতে পারে নাই? কারণ, যারা ওই সময় ক্ষমতায় ছিল এদেশের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করত না। যে কারণে তারা এ দেশকে উন্নত করতে চায়নি। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায়নি। ক্ষমতা ছিল তাদের ভোগের বস্তু। যার ফলে আমরা সামনের দিকে এগোতে পারিনি। জনগণ আমাদের পরপর ৩বার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে। যার কারণে আমরা এই উন্নয়নগুলো করতে সক্ষম হয়েছি।

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, দক্ষিণ টিউব দিয়ে আনোয়ারা থেকে চট্টগ্রাম শহরে এবং উত্তর টিউব দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে আনোয়ারার দিকে যান চলাচল করবে। দুটি টিউবের অপরটির বাকি কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। টিউবের নির্মাণকাজ শেষ হলেও বৈদ্যুতিক, মেকানিক্যালসহ আরও কিছু কাজ বাকি আছে। এসব কাজ শেষ করে যান চলাচলের জন্য টানেল প্রস্তুত হতে জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে টানেল দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে ফেব্রুয়ারি মাসে।