বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নেতা। বাঙালি তথা বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত এ নেতাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতরা সপরিবারে হত্যা করে। দেশের অগ্রগতিকে ধুলিস্যাৎ করতে চেয়েছিলো। ঘাতকদের সে আশা ধ্বংস হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপি জামায়াত চক্রকে প্রতিহত করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ চট্টগ্রাম কেন্দ্র আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ হারুন এর সভাপতিত্বে প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইউসুফের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.টি.এম.পেয়ারুল ইসলাম।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত এক ও অভিন্ন একটি গোষ্ঠী। তারা এদেশে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি পছন্দ করে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ঘাতকরা বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের নাম মুছে দিতে চিয়েছিল। শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণ তা সম্ভব হয়নি। সে সময় যারা এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিল তাদের হত্যা নিপীড়ন ও নির্যাতনের মাধ্যমে তাদের দমিয়ে রাখা হয়েছিল। তাদের এজঘন্য অপরাধের সহযোগিতা করেছিল আওয়ামী লীগের কিছু সুবিধাবাদী নেতা। কিন্তু ৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর দলকে আবার সুসংগঠিত করে তোলেন। তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে তারা একাধিকবার হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে। কিন্তু মহান আল্লাহর রহমতে তারা ব্যর্থ হয়। আগামী নির্বাচনে তাদের যেকোনো চক্রান্ত নস্যাৎ করতে দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ , চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম, প্রকৌশলী এনামুল বাকী, ড.প্রকৌশলী রশীদ আহমেদ চৌধুরী, প্রকৌশলী এম.এ.রশীদ, প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রকৌশলী খোরশেদ উদ্দিন আহমেদ বাদল, প্রকৌশলী মো.মাকসুদ আহমেদ, প্রকৌশলী সৈয়দ মো. ইউসুফ, প্রকৌশলী রাজিব বড়ুয়া, প্রকৌশলী আবু মো.রাশেদ চৌধুরী, প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী ঝুলুন কুমার দাশ প্রমুখ।