২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ৭ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

পলিথিনমুক্ত চট্টগ্রাম নগরী গড়তে করতে জেলা প্রশাসন শিগগিরই অভিযানে নামছে।চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসান গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, পলিথিন, শপিং ব্যাগ বা পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরি সামগ্রীর বহুল ব্যবহারের কারণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল হয়ে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। অপচনশীল পলিথিনের যত্রতত্র ব্যবহারের ফলে ভরাট হচ্ছে মহানগরীর নালা–নর্দমা ও খাল–বিল। এতে করে দূষিত হচ্ছে পানি আর ভেঙে

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবেশ বাঁচাতে পলিথিন ব্যাগের বিকল্প পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে এবং বিকল্প হিসেবে পাট, কাগজ ও কাপড়ের ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে হবে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সকল প্রকার পলিথিন ব্যাগ ও পলিইথাইলিনজাত দ্রব্য ব্যবহার, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, প্রদর্শন ও মজুদ বন্ধ করতে ব্যবসায়ীদেরকে আন্তরিক হতে হবে। অন্যথায় জেলা প্রশাসন শিগগিরই মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নেতৃত্বে আমরা সকলে মিলে দ্রুততম সময়ে পলিথিনমুক্ত নগরী গড়তে চাই।

বিজ্ঞপ্তিতে এডিএম বলেন, দূষণ ও পলিথিনমুক্ত নগরী গড়তে হলে পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব পাটজাত ব্যাগ, কাগজ ও কাপড়ের ব্যাগের ব্যবহার বাড়ানোর ব্যাপারে নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, দপ্তর, সংস্থা ও ব্যবসায়ীগণকে অবহিত করা হয়েছে। এডিএম রাকিব হাসান আরও জানান, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের নির্দেশনা মোতাবেক কোনো প্রকার পলিথিন, শপিংব্যাগ, পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরি সামগ্রী আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন নিষিদ্ধ। উক্ত আইনের বিধান অনুযায়ী মহানগরীর সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বিপনী বিতানে পলিথিন বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, বিক্রয়, বিতরণ ও ব্যবহার না করার জন্য বলা হলো।