১৩ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ || ২৭শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সিঁদুরের উৎসব আর বাধভাঙা আনন্দ-উচ্ছ্বাসে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ‘দুর্গতিনাশিনী দেবী’কে বিদায় জানিয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

বিসর্জনের আগে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে সারি সারি ট্রাকের শোভাযাত্রা দেখা যায় পতেঙ্গার সমুদ্র সৈকতের পথে। নাচে-গানে আর প্রাণোচ্ছ্বাসে প্রতিটি ট্রাকই ছিল উৎসবমুখর। এদিকে বিসর্জনের সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

শুক্রবার (১৯অক্টোবর) দুপুর ১২টার পর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনের বিদায়ের সুরটি বাজে। এর আগে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন মণ্ডপে মণ্ডপে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠে কেউ কেউ। কেউবা অশ্রুজলে বিদায় দিয়েছেন মা দুর্গাকে। এ সময় শেষবারের মতো পুণ্যার্থীর অঞ্জলি, পূজা আরতি এবং ঢাকের তালেও বাজে প্রতিমা বিসর্জনের সুর।মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে পতেঙ্গাসৈকতে যেন লাখো পুণ্যার্থীর ঢল নামে

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল  বড়ুয়া  জানান, প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নগরের ৪১ ওয়ার্ড ও জেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ থেকে ট্রাক নিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে এসেছেন পূণ্যার্থীরা। দুপুর ১২টা থেকে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে। যা চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত  জানান, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে মা দুর্গাকে বিসর্জন জানানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে।প্রতিমা বিসর্জনের সার্বক্ষণিক দায়িত্বে সহযোগিতা করছে আইনশৃংখলাবাহিনী।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত জানান, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ছাড়াও নগরের কাট্টলী সৈকত, কালুরঘাট, সদরঘাট বাঁশঘাটা, ফিরিঙ্গিবাজার, পারকি সমুদ্র সৈকতসহ বড়পুকুর, দীঘি, খাল ও নদীতে মা দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে।

এ বছর চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলায় দুর্গোৎসব উদযাপিত হয় ১ হাজার ৮২৫টি এবং নগরের ২৫৫টি পূজামণ্ডপে ।