[bangla_date] || [english_date]

নিজস্ব প্রতিবেদক *

চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এক পাইলট মারা গেছেন। তার নাম নাম অসীম জাওয়াদ। এ ঘটনায় আরেক পাইলট আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টার মাথায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ বন্দর জোনের উপকমিশনার শাকিলা সোলতানা বলেন, চট্টগ্রাম নৌবাহিনী হাসপাতালের চিকিৎসক ওই পাইলটকে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ঘোষণা করেছেন।

অসীম জাওয়াদ বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার ছিলেন। তিনি ২০১০ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে (বাফা) যোগদান করেন। তিনি ২০১১ সালে একজন পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন।

আহত পাইলটের নাম সোহান। তিনি বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরে এটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এসময় বিমানে থাকা দুজন পাইলট প্যারাস্যুট দিয়ে নেমে যান। একপর্যায়ে বিমানটি কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হয়।

দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই সার্জেন্ট জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির অবস্থান। দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি সেখান থেকে উড়াল দিয়েছিল বলে জানা গেছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রশিক্ষণ বিমানটি পতেঙ্গার নৌ-বাহিনীর বোট ক্লাবের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা যায়। এ সময় বিমানটির পেছনে আগুনের হল্কা দেখা যায়। এর পরপরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় সাগরে পড়ে।

“সোর্ড অব অনার” অর্জন করা অসিম জাওয়াদ  ইঞ্জিনে আগুন লাগার পরেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত উড়োজাহাজ বাঁচানোর লড়াইয়ে ছিলেন।  এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক

আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি ওয়াই এ কে-১৩০ (YAK 130) প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পতেঙ্গা এলাকায় দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় প্রশিক্ষণ বিমানটির দুজন পাইলট প্যারাস্যুটের সাহায্যে অবতরণ করেন।

এদিকে নৌবাহিনীর পাশাপাশি কোস্টগার্ডও বিধ্বস্ত বিমানটির উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে।