১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় সড়কের পাশে দাঁড়ানো পণ্যবাহী একটি ট্রাকের পেছনে নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি যাত্রীবাহী বাস সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই বাসের ২যাত্রী প্রাণ হারান । এ সময় কমবেশি আহত হয়েছে বাস চালকসহ ৬জন।

তাদের মধ্যে বাসচালকসহ দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকাল পৌনে সাতটার দিকে মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের হারবাং মাজার গেট এলাকায় মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনাটি সংঘটিত হয়।

নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার জামাল উদ্দিনের পুত্র টিপু সুলতান (২২) এবং যশোর জেলার সুবর্ণখালীর আবু আহসানের পুত্র মোহাম্মদ তালহা জুবাইর সাজিদ (২৪)।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাসড়কের চকরিয়ার বানিয়ারছড়াস্থ চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ খোকন কান্তি রুদ্র জানান, দুর্ঘটনায় নিহত ২জনই যাত্রীবাহী বাসের যাত্রী ছিলেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী। যাচ্ছিলেন কক্সবাজারে বেড়াতে কিন্তু পথিমধ্যে দুর্ঘটনার শিকার হলেন তারা।

তিনি আরও জানান, এই দুর্ঘটনায় বিসমিল্লাহ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের (ঢাকা মেট্টো-ব-১২-১৮৪৬) চালক হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার আব্দুল হাইয়ের পুত্র আব্দুল মালেকসহ আরও ছয়জন যাত্রী আহত হয়েছেন।

তাদের মধ্যে বাসচালকসহ দুই যাত্রীকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাইওয়ে পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সড়কের পাশে আগে থেকেই দাঁড়ানো ছিল পণ্যবাহী একটি ট্রাক (চট্টমেট্টো-ট-১২-০৬৬৯)। সকাল পৌনে সাতটার দিকে কক্সবাজারগামী বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে দাঁড়ানো ট্রাকের পেছনে গিয়ে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন যাত্রী প্রাণ হারায়।

এদিকে, দুর্ঘটনার পর পরই মহাসড়কের উভয়দিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এ সময় ক্রেন দিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ি দু’টি সরিয়ে ফের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয় কিছুক্ষণ পর। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ি দু’টি হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, দুর্ঘটনার পর ছয়জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজন হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তারা একেবারেই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।