[bangla_date] || [english_date]

নিজস্ব প্রতিবেদক *

নতুন করে আর হামলা না হওয়ায় খানিকটা শান্ত রয়েছে বান্দরবান। তবে থমথমে ভাব বিরাজ করছে। থানচি বাজারে শনিবার সকাল থেকে পুলিশের টহল দেখে অবশেষে দোকান খুলেছেন বেশিরভাগ ব্যবসায়ী। তবে আতঙ্ক এখনও কাটেনি সাধারণ মানুষের। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত আছে পুলিশ।

তিন দিনে দুটি সন্ত্রাসী ঘটনায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে থানচি এলাকায়। বাজারের ব্যবসায়ীরা ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। এক পাহাড়ি ব্যবসায়ী বলেন, কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা কী চায় আমরা বুঝতে পারছি না। জীবনে প্রথম ব্যবসা করতে গিয়ে চাঁদা দিতে হয়েছে। এভাবে চললে ব্যবসায় ধস নেমে আসবে।

এদিকে যৌথ বাহিনীর অভিযান হতে পারে এমন খবরে স্থানীয় বমপাড়ার বাসিন্দারা রয়েছেন আতঙ্কে। তাদের দাবি, সাধারণ বমদের যেন কুকি চিনের সদস্য ভেবে হয়রানি না করা হয়।  পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যরা থানচি থানার দেড় কিলোমিটারের মধ্যে আত্মগোপনে আছে।

তাদের অবস্থান শনাক্তে ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যে কোনো সময় কেএনএফ আবারও আক্রমণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে, আক্রমণ হলে তা প্রতিরোধে সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ। কুকি চিনের বিরুদ্ধে কঠোর হবার কথা জানিয়েছে সরকারও।

মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার-টানা তিনদিন রামু ও থানচির ব্যাংক ও থানা এলাকায় হামলার পর শুক্রবার আর নতুন ঘটনা ঘটেনি। ওয়াক চাক্কু ম্রোপাড়ায় স্থানীয়রা মেতেছেন নিজেদের উৎসবে। শান্ত থানচি বাজারও। সকাল থেকেই টহল চলছে পুলিশের।

অবস্থান ছিল বিজিবিরও। এসব দেখে অনেকেই বেলা বাড়ার সাথে সাথে দোকান খোলেন। স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে থানচিতে দুই ব্যাংকে হামলার পর আক্রমণকারীরা বমদের বসতি শাহজাহান পাড়ার পথ ধরে বেরিয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে যৌথ বাহিনী ও কুকি চিন উভয়পক্ষের হয়রানির আশঙ্কা আছে বমরা।

শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছে সবার নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বলেছেন, বান্দরবানে তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, শান্তিপ্রিয় মানুষগুলো এই এলাকায় থাকে। এখানে এ রকম কোনো ঘটনা হবে, আমরা চিন্তা করিনি। হঠাৎ করে কেন ঘটলো, তদন্ত করা হচ্ছে।

বান্দরবানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বাড়াবে সরকারবান্দরবানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বাড়াবে সরকার

তবে ভেরিফায়েড নয়, এমন একটি ফেসবুক পাতায় কেএনএফ তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ‘অপারেশন করে কোনো লাভ হয়েছিল? ক্ষতিটাই বেশি হয়েছে।’ শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে সামাজিক মাধ্যমে এই পোস্টটি দেন পাহাড়ের সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ক্যাপ্টেন ফ্লেমিং।

যদিও এই ফেসবুক পেজটি ভেরিফায়েড নয়, তবে কেএনএফের অনেক বক্তব্য ও বিবৃতি সেখানে নিয়মিত প্রকাশ করা হয়। তবে এই ফেসবুক পেজ এবং তাতে কেএনএফের বিবৃতি সম্পর্কে নিরপেক্ষ কোন পক্ষ থেকে সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এনিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।