নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ফিফা প্রীতি ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের ম্যাচে ফল নিষ্পত্তি হয়নি। আক্রমণে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও গোল পায়নি লাল-সবুজ দল। ম্যাচটি শেষ হয়েছিল গোলশূন্য স্কোরলাইনে। দুই ম্যাচের সিরিজ নির্ধারণে সরাসরি টাইব্রেকারে গেছে ম্যাচ। সেখানে বাংলাদেশকে ৪-২ গোলে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে হিমালয়ের দেশটি।
পেনাল্টি শুটআউটে বাংলাদেশের শামসুন্নাহার ও মনিকা চাকমা গোল করেন। তবে শিউলি আজিম ও মারিয়া মান্দার শট গোলকিপার আনজিলা ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন। বিপরীতে নেপালের সাবিত্রা ভাণ্ডারি, হীরা কুমারি, দীপা শাহি ও অনিতা গোল পেলেও আনজিলা পোস্টের নিচে মারেন।
এর আগে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচের একাদশ রেখে খেলছে বাংলাদেশ। ম্যাচঘড়ির ৪ মিনিটে বাংলাদেশ বড় সুযোগ হাতছাড়া করে। প্রথম সুযোগ পায় তারা। সাবিনা খাতুনের ফ্রি-কিক থেকে নেওয়া শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়, জটলা থেকে একজনের ফিরতি শট গোললাইনে সেভ হয়।
৩৬ মিনিটে মনিকা চাকমা বক্সে ঢুকে শট নেয়ার আগে গা ঘেঁষে থাকা এক ডিফেন্ডার তা ব্যর্থ করে দেন। শেষের দিকে এসে নেপাল সুযোগ তৈরি করে, কিন্তু তারাও গোল পায়নি।
৪৩ মিনিটে সাবিত্রা ভাণ্ডারি বল পেয়েছিলেন, তার দুর্বল শট গোলকিপার রুপনার হাতে জমা পড়ে। বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে সাবিত্রার শট গোলকিপার দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় তালুবন্দি করেন।
বিরতির পর একই গতিতে খেলা হয়েছে। দুই দলই চেষ্টা করেছে লক্ষ্যভেদ করার। কিন্তু কোনও দলই সফল হতে পারেনি। তবে গোল করার মতো প্রচেষ্টার অভাব দেখা গেছে দুই দলের মধ্যেই। বিশেষ করে স্বাগতিকরা পারেনি প্রতিপক্ষ গোলকিপারের বড় পরীক্ষা নিতে।
৬৬ মিনিটে বাংলাদেশের বদলি খেলোয়াড় শাহেদা আক্তার রিপার দুর্বল শট গোলকিপার সহজেই গ্রিপে নিয়ে নেন। ৮৭ মিনিটে নেপালের দীপা শাহির জোরালো শট রুপনা চাকমা জায়গায় দাঁড়িয়ে তালুবন্দি করেন।
বাংলাদেশ একাদশ: রুপনা চাকমা, শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার, আফঈদা খন্দকার, মাশুরা পারভিন, মনিকা চাকমা, সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা, কৃষ্ণা রানী সরকার (শাহেদা আক্তার রিপা), তহুরা খাতুন ও সাবিনা খাতুন।