১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী  ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান জেলহত্যার প্রধান কুশীলব বলেই বিএনপি এই দিবসের আলোচনায় অংশ নেয় না।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

জাতীয় সংসদে জেলহত্যা দিবসের আলোচনায় বিএনপির অংশ না নেয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী  ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আলোচনা করলে এটাই উঠে আসবে এবং উঠে আসা উচিত যে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ইন্ধনেই তার অনুগত সেনারা কারাগারের মধ্যে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল। সুতরাং তারা জেলহত্যা নিয়ে কী বলবে! তারা দায়টা স্বীকার করতে পারে। তাদের প্রতিষ্ঠাতা যেহেতু এই জেলহত্যার সাথে জড়িত, সেজন্য তারা এই দিবসের আলোচনায় অংশগ্রহণ করে না।

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলা নিয়ে প্রশ্ন করলে তীব্র নিন্দা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী  বলেন, বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক একজন উদারমনের মানুষ, গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাস করেন এবং মুক্তমত চর্চা করেন। স্বাধীনতার সপক্ষের একজন বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর তিনি। ছাত্রদলের ইন্ধনেই তার ওপরে হামলা হয়েছে এবং ছাত্রদলের চারজন গ্রেফতার হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, এতে এটিই প্রমাণিত হয় যে আমরা যে বলে আসছি- বিএনপি সারা দেশে নাশকতার ছক এঁকেছে, সেটি সত্য। এই আন্দোলনের আড়ালে তারা দেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছে। সেটিরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলা।

‘বিএনপি-জামায়াত জোট এই ধরনের আরও হামলার পরিকল্পনা করেছে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাদের ছত্রছায়ায় যে অপশক্তি জঙ্গিগোষ্ঠী আছে, তারা এগুলো করছে। এজন্য বারবার আমরা দেশবাসীকে সতর্ক করেছি। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই- এই অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাতের আঁধারে বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র নির্মমভাবে জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে হত্যা করে। এই চার নেতাই বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে জাতির জন্য বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন।