১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ৩রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বা বিদেশি রাষ্ট্রদূতের কোনো চাপ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বা বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কোনো চাপ নির্বাচন কমিশনের ওপর নেই। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাষ্ট্রদূতরা বিভিন্ন সময় যে বক্তব্য দিচ্ছেন সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো মন্তব্য নেই। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কোনো দলকে বাধ্য করা হচ্ছে না। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সকল দলকে অংশ গ্রহণ করতে আহ্বান করছি। আমরা আশাবাদী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সকল বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে।’

অনুষ্ঠানে বিএনপিসহ সব দলকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আশা করি বিরোধী দল (বিএনপি) আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এতে নির্বাচন আরও অংশগ্রহণমূলক হবে।’

নির্বাচন অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘উপজেলায় প্রাথমিকভাবে মোট ৪০০ ভোটারের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের সব ভোটারদের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।’

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবির, প্রকল্প পরিচালক (আইডিইএ) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসানাত মোহাম্মদ সায়েম, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস.এম আক্তারুজ্জামান, বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলাম, পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম (বিপিএম, পিপিএম), মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. গাজী আতহার উদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুলতান আহমেদ, প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল জলিল ও ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. আবুল বাসার নাসিরসহ আরও অনেকে।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সুশীল সমাজ, ইলেকট্র্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক, নতুন ভোটার, সরকারি-বেসরকারি অফিসের বিভিন্ন পদবীর কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।