স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসার উদ্যোগে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকার অতি বিপদাপন্ন জলবায়ু স্থানচ্যুত পরিবারের জন্য কমিউনিটি ভিত্তিক স্থায়িত্বশীল পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রণয়ন-বিষয়ক কর্মশালা সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
ইপসার প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধানঅতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনোয়ারা বেগম। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইপসার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান । ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ইপসার কর্মকর্তা মোরশেদ হোসেন মোল্লা। এছাড়াও ইপসার পরিচালক (অর্থ) পলাশ কুমার চৌধুরী, কুতুবদিয়া উপজেলায় ইপসা কর্তৃক চলমান বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বিষয়ে অবহিত করেন, বিশেষ করে এই এলাকার অতি বিপদাপন্ন জলবায়ু স্থানচ্যুত পরিবারের জন্য স্থায়িত্বশীল পুনর্বাসনের গুরুত্বারোপ করেন।
কর্মশালায় অন্যান্য অতিথির মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছৈয়াদা মেহেরুন্নেছা, দক্ষিণ ধূরুং চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমদ চৌধুরী,কৈয়ারবিল চেয়ারম্যান জালাল আহমদ, লেমশীখালী চেয়ারম্যান আকতার হোছাইন, কুতুবদিয়া প্রেসক্লাব সভাপতি এস কে লিটন কুতুবী,সহ-সভাপতি এম হাছান কুতুবী, কুতুবদিয়া জলবায়ু ফোরাম সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারবৃন্দ এবং মতামত প্র্রদান করেন স্থানীয় সাংবাদিক ও জলবায়ুজনিত স্থানচ্যুত মানুষের প্রতিনিধি, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধি, স্থানীয় সুশীল শ্রেণীর প্রতিনিধি এবং এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনোয়ারা বেগম বলেন, কুতুবদিয়া উপজেলা কক্সবাজার জেলার অন্তর্ভূক্ত একটি জলবায়ু দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। এখানে প্রতিটি দুর্যোগের সময় মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও গৃহহারা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে স্থানচ্যুত মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তা স্বত্বেও স্থানচ্যুত মানুষের জন্য সাহায্য ও সুরক্ষার পরিমাণ প্রয়োজনের তূলনায় অপ্রতুল। এ ধরনের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য সামগ্রিকভাবে স্বেচ্ছা এবং পরিকল্পিত পুনর্বাসনের বিকল্প নেই -যাতে করে তারা ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা থেকে নিরাপদ বসবাসযোগ্য স্থানে বাস করতে পারেন এবং সব রকমের মৌলিক চাহিদা পেতে পারেন।
ইপসার প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান বলেন, স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ প্রকল্প এলাকায় প্রকল্প- সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে ত্বরান্বিত করবে।