চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, ‘সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পতিত জমিতে হবে সবজি বাগান। যেসব প্রতিষ্ঠান এ কাজে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখাবেন তাদেরকে পুরস্কার দেয়া হবে। একইভাবে পরপর তিন বছর কোনও আবাদি জমি কেউ পতিত রাখলে তা খাস করে দেয়া হবে।’
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে জেলার সরকারি ও বেসরকারি দাফতরিক প্রধানদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। সেখানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। সভায় চট্টগ্রাম জেলার সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জেলা শিক্ষা অফিসার, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, বন বিভাগ, সিভিল সার্জনসহ সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে তাদের চত্বরের পতিত জমিতে সবজি চাষের জন্য নির্ধারিত টার্গেট দেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী শুক্রবার এবং শনিবার সব প্রতিষ্ঠানকে তাদের চত্বরের পতিত জমি চাষাবাদ উপযোগী করে গড়ে তোলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পরের সপ্তাহে তাতে সবজি বাগান করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের চত্বরের পতিত জমিতে সবজি চাষের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখাবেন তাদেরকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণ করে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে উপজেলায় পতিত জমি নির্ধারণ করে তা চাষাবাদের আওতায় আনতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়। পাশাপাশি আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রতিটি উপকারভোগী যেন তাদের বসবাসের স্থানের পতিত জায়গা ফেলে না রাখে এবং সবজি চাষ করেন সে বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এ ছাড়া বনবিভাগ, বাংলাদেশ রেলওয়ে, পানি উন্নয়ন বোর্ড, রোডস অ্যান্ড হাইওয়েজ, বিটিএমসিসহ যেসব বড় বড় সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের আওতায় চাষাবাদযোগ্য বিপুল পরিমাণ জমি পতিত অবস্থায় রয়েছে তাদেরকে সব জমিকে সবজি চাষের আওতায় আনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পতিত জমিতে আবাদের বিষয়টি জেলা প্রশাসন কর্তৃক সার্বক্ষণিক মনিটর করছে বলেও জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পতিত ভূমি কীভাবে কাজে লাগানো যায় এ বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সরকারি-বেসরকারি অফিস ও বাসা বাড়ির পতিত জমিতে সবজি চাষের মাধ্যমে ভূমি ব্যবহারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। পরপর তিন বছর কোনও আবাদি জমি কেউ পতিত রাখলে তা খাস করে দেয়া হবে।’
তিনি আরও বলে, ‘চট্টগ্রাম জেলার বেশিরভাগ অফিসেই পতিত জমি রয়েছে- এগুলো পতিত না রেখে কাজে লাগানোর স্বার্থেই সবজি ও ফলের বাগান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যার ফলে সবজির ঘাটতি নিরসনসহ পরিবেশের ভারসাম্য ও ভূমি ব্যবহারের কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।’