১৩ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ || ২৭শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বাংলাদেশ লিমিটেডের কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে কারখানাটির এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে কয়েকশ’ নারীসহ শ্রমিক-কর্মচারীরা বুধবার (১ আগস্ট) সকাল থেকে এ মানববন্ধনে অংশ নেন। এ সময় তারা কারখানাটি খুলে দেওয়ার দাবিতে লেখা ব্যানার ফেস্টুন, প্লেকার্ড প্রদর্শন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আজম দাবি করেন, সদ্য বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাকিস্তানি নাগরিক হওয়ায় লাভজনক ও মানসম্পন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানাটি বন্ধের নীলনকশা চূড়ান্ত করে যান। এর ফলে ১ হাজার স্থায়ী এবং ৩০০ শ্রমিকের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।

তিনি বলেন, ১৩শ’ মানুষকে পথে বসিয়ে এ দেশের সম্পদ কারখানাটি বন্ধের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায় না। আমরা টাকা চাই না। কারখানা চালুর উদ্যোগ চাই। অবিলম্বে পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিতে হবে।

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি তপন দত্ত বলেন, কয়েক বছরে অপ্রয়োজনীয় মেশিনারি আমদানি করে, অবকাঠামো সংস্কার করে, বজ্র নিরোধক প্রকল্প নিয়ে কারখানাটিকে লোকসানি প্রতিষ্ঠান দেখানোর অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু কারখানাটি তবুও লাভজনক ছিল। বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি  গ্ল্যাক্সো বন্ধ করার অর্থ হচ্ছে এদেশের মানুষকে মানসম্পন্ন ওষুধ সুলভে পাওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়া।

শ্রমিকনেতা সফর আলী বলেন, বাংলাদেশের আইন না মেনেই কারখানাটি বন্ধ করা হয়েছে। এটি ষড়যন্ত্র। এ ষড়যন্ত্র রুখতে হবে।

তিনি শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলনের পরামর্শ দিয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলনে ফল না এলে আমরা রাজপথে নামা ছাড়া উপায় থাকবে না।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৩-১৭ সাল পর্যন্ত কারখানাটি প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা জাতীয় রাজস্ব খাতে জমা দিয়েছে। এ সময় নিট মুনাফা করেছে ৩৫১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এ প্রতিষ্ঠানে সরকারি শেয়ার ১৮ শতাংশ। দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহলের অপতৎপরতায় গত ২৬ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় পূর্ব ঘোষণা ছাড়া কারখানার উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরদিন ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সব উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি মো. ইলিয়াছ, সহ-সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম প্রমুখ।