বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা ও লিড গিটারিস্ট সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু আর নেই (ইন্না … রাজিউন। বৃহস্পতিবার (১৯অক্টোবর) সকাল ১০টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সকালে নিজের বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের চট্টগ্রামে (বর্মানে বাংলাদেশ) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে গায়ক, লিডগিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, প্লেব্যাক শিল্পী। এলআরবি ব্যান্ড দলের লিড গিটারিস্ট এবং ভোকাল বাচ্চু বাংলাদেশের ব্যান্ড জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের একজন। এর আগে তিনি দশ বছর সোলস ব্যান্ডের সাথে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন।বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীত জগতে গিটার ও গানের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন আইয়ুব বাচ্চু।
আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘রূপালি গিটার’, ‘রাত জাগা পাখি হয়ে’, ‘মাধবী’, ‘ফেরারি মন’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘ঘুমন্ত শহরে’, ‘বার মাস’, ‘হাসতে দেখ’, ‘উড়াল দেব আকাশে’। ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি,’ ‘সেই তুমি কেন অচেনা হলে’, ‘একদিন ঘুম ভাঙ্গা শহরে’, ‘মেয়ে ও মেয়ে’, ‘কবিতা সুখ ওড়াও’, ‘এক আকাশ তারা’ গানগুলো ঘুরেছে মানুষের মুখে মুখে।
১৯৭৮ সালে সঙ্গীতজীবন শুরু করেন আইয়ুব বাচ্চু। আইয়ুব বাচ্চু একাধারে গায়ক, লিড গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, প্লেব্যাক শিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন।
সোলসের হয়ে ব্যান্ড সঙ্গীতে পা রাখার পর ১৯৯০ সালে নিজের ব্যান্ড দল প্রতিষ্ঠা করেন আইয়ুব বাচ্চু। ব্যান্ডের নাম রাখেন ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’। পরবর্তীতে এর নাম বদলে রাখা হয় ‘লাভ রান্স ব্লাইন্ড’।
ওই বছরই এলআরবি ডাবল অ্যালবাম দিয়ে তাদের যাত্রা শুরু করে। আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম ‘রক্তগোলাপ’। তার সফলতার শুরু দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘ময়না’র মাধ্যমে। তিনি বেশ কিছু বাংলা ছবিতে প্লে-ব্যাকও করেছেন। ১৯৯৫ সালে বাচ্চু তার তৃতীয় একক অ্যালবাম ‘কষ্ট’ বের করেন। বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা একক অ্যালবামগুলোর মধ্যে একটি এটি।
অত্যন্ত গুণী এই শিল্পী তাঁর শ্রোতা-ভক্তদের কাছে এবি নামেও পরিচিত। তাঁর ডাক নাম রবিন। মূলত রক ঘরানার কণ্ঠের অধিকারী হলেও আধুনিক গান, ক্লাসিকাল সঙ্গীত এবং লোকগীতি দিয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন।