সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি *
সীতাকুণ্ডে নিয়ন্ত্রণহীন কনটেইনারবাহী লরির নিচে প্রাইভেট কার চাপা পড়ে দুই শিশুসহ ৫জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় হাইওয়ে পুলিশ আটকে পড়া ৫যাত্রীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠায়।
আজ শনিবার (৫আগস্ট) সকাল ১০টায় উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের সামনে ঘটে এ দুর্ঘটনা ।
স্থানীয় পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কনটেইনারবাহী লরি মহাসড়কের ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজগেট এলাকা অতিক্রমের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আইল্যান্ডের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এ সময় লরিটি উল্টে গেলে তার পাশে থাকা একইমুখী যাত্রীবাহী প্রাইভেট কারটি বিশাল কনটেইনারবাহী লরির নিচে চাপা পড়ে। এসময় লরির নিচে চাপা পড়া যাত্রীদের আর্তচিৎকারে চারদিকের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এ সময় তারা আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা চায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশে এবং স্থানীয় জনসাধারণের প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার যৌথ প্রাণপণ চেষ্টায় শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া প্রাইভেটকার থেকে তাদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

কনটেইনারবাহী লরিতে চাপাপড়া প্রাইভেট কারের আহতরা হলেন-দুবাই ফেরত আবু বক্কর (৪২),চট্টগ্রাম বিমান বন্দর থেকে নিয়ে প্রাইভেটকারে করে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন তার বাবা মুছা আহম্মদ (৬৩), বাবু বক্করের মেয়ে আবিদা আক্তার (৬), আবিলা ডাক্তার (৩) ও প্রাইভেটকারের চালক বেলাল (৩২)। তারা সবাই মাথায় আঘাত পেয়েছেন।তবে সবাই আশঙ্কামুক্ত।
এ বিষয়ে বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) উজ্জ্বল কুমার ঘোষ বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়েছে। আটকে পড়া যাত্রীরা আহত হলেও কোনো ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আহতদের মধ্যে দুজন শিশু রয়েছে। সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, এ ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গেছেন প্রাইভেটকারে থাকা চালকসহ ৫ যাত্রী । দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কার ও লরি আটক করা হয়েছে।
