১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

বাংলা প্রথম পত্রের মাধ্যমে সারাদেশে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। রবিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে। পরীক্ষার প্রথম দিন দেশের ১০ শিক্ষা বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ২০ হাজার ৩৫৪ জন। অসাধু পন্থা অবলম্বন করায় বহিষ্কার করা হয়েছে ২১ জনকে।

রবিবার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে এ তথ্য।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যে জানা গেছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ২৮৫টি কেন্দ্রে মোট ২ লাখ ৭৩ হাজার ৭০ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৫০৯ জন অনুপস্থিত ছিল। চট্টগ্রাম বোর্ডে ১ হাজার ৩৫৬ জন, রাজশাহী বোর্ডে ২ হাজার ১৫৮ জন, বরিশাল বোর্ডে ৯৬৭ জন অনুপস্থিত ও একজন বাহিষ্কার, সিলেট বোর্ডে ৯৬৮ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ১ হাজার ৮১৮ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ১ হাজার ৭৬২ জন অনুপস্থিত ও ৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ বোর্ডে অনুপস্থিত ছিল ৮১৩ জন এবং যশোর শিক্ষা বোর্ডে ১ হাজার ৯০৪ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।

সাধারণ নয়টি বোর্ডে ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫১ জনের মধ্যে মোট ১৫ হাজার ২৫৫ জন অনুপস্থিত ছিল। এর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ছয়জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণ হওয়ায় এ বোর্ডের অধীনে বাংলা প্রথমপত্র (আবশ্যিক) পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এ পরীক্ষার সময় ঘোষণা করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট বোর্ড থেকে জানা গেছে।

অন্যদিকে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সারাদেশে ৪৪৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৯৩ হাজার ২৫২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মোট ৫ হাজার ৯৯ জন অনুপস্থিত ছিল। অনুপস্থিতির হার ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ বহিষ্কার করা হয়েছে ১৫ জনকে।

পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে শিক্ষামন্ত্রী

এবার পরীক্ষা চলাকালে কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁসের অপচেষ্টা করলেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। শিক্ষামন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে অভিনব কায়দায় এসএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা করা হয়েছিল। ওই পরীক্ষায় যেসব ছোটখাটো দুর্বলতা ছিল, তা বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা। কেউ কোথাও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অপচেষ্টা করলে আমরা সবাই মিলে সেটা প্রতিরোধ করব। প্রশ্নফাঁসের অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে অভিভাবকদের ভিড় প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাইরে দেখলাম অভিভাবকদের ভিড়। যারা আগে এসেছেন, নিজের সন্তানকে ভেতরে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু তাদের ভিড়ের কারণে পরে আসা পরীক্ষার্থীদের ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। অভিভাবকদের অনুরোধ করব, আপনারা সন্তানকে কেন্দ্রে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্র ত্যাগ করবেন। তাহলে অন্য পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে ঢুকতে সমস্যা হবে না।

আগামী বছর এইচএসসি পরীক্ষা আরো এগিয়ে আনার কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের পরীক্ষা আরো এগিয়ে আনা হবে। আমরা এ বছরই চেষ্টা করেছিলাম পরীক্ষা জুলাই-আগস্টে নিয়ে আসতে। কিন্তু দেশের একটি বৃহৎ অঞ্চলে বন্যার কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে হয়েছে।

তিনি বলেন, আগামীতে কোনোও অঞ্চলে বন্যার মতো কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে, ওই বোর্ডের পরীক্ষা সাময়িক বন্ধ রেখে আমরা অন্য বোর্ডের পরীক্ষা নেব। পরে ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যত দ্রুত সম্ভব ওই বোর্ডের পরীক্ষা নেয়া হবে।

পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনকালে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।