১৩ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ || ২৭শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টির সংস্করণ আসার পর থেকেই অর্থের মোহ বেড়েছে খেলোয়াড়দের। যে কারণে ক্রিকেটাররা জাতীয় দলে খেলার চেয়ে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলায় ঝুঁকে যাচ্ছেন। এবার আফগানিস্তানের প্রিমিয়ার লিগে (এপিএল) খেলার জন্য জাতীয় দলকেই না বলে দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ক্রিকেটার ক্রিস গেইল।

দেশের হয়ে খেলার চেয়ে বিভিন্ন দেশের ফ্রাঞ্চাইজি লিগকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা। এপিএলে খেলার জন্যই ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন ক্রিস গেইল।

আরব আমিরাতে চলছে আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ। পাঁচ দলের অংশ গ্রহণে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় বাল্খ লিজেন্ডসের হয়ে খেলবেন ক্রিস গেইল। ২১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই প্রতিযোগিতা। ওই দিনই ভারত–ওয়েস্ট ইন্ডিজ একদিনের সিরিজ শুরু। জাতীয় দলের খেলা থাকা সত্ত্বেও এপিএলে খেলার জন্য গেইলকে অনুমতি দিয়েছে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট বোর্ড।

অথচ সদ্য শেষ হওয়া রাজকোট টেস্টে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের বিপক্ষে ইনিংস ও ২৭২ রানে পরাজিত উইন্ডিজ। দলের এমন করুণ পরিণতি নিজ চোখে দেখেছেন ধারাভাষ্য দিতে ভারত সফরে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক কার্ল হুপার।

দুদিন আগে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হুপার আক্ষেপ করেই বলেন, আইপিএল ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের ক্ষতি করছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের তরুণ ক্রিকেটারদের এখন লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে যে কোনো মূল্যে আইপিএলের কোনো ফ্রাঞ্চাইজিতে যোগ দেয়া। নারাইন, গেইল, পোলার্ডের মতো ক্রিকেটাররা টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। এভিন লুইসও বোর্ডের চুক্তিতে সই করেনি।’

ওয়ানডে সিরিজ থেকে ক্রিস গেইলের সরে যাওয়া প্রসঙ্গে হুপার বলেন, ‘‌বলছিলাম না, ফ্রাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের ক্ষতি করছে। এই তো তার জ্বলন্ত প্রমাণ। একজন ক্রিকেটার দেশের হয়ে না খেলে টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে চলল। আর বোর্ডও তাকে অনুমতি দিল। গেইলের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার যদি এই রকম করে, জুনিয়ররা তো অনুসরণ করবেই। বোর্ড যদি কড়া না হয়, ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের দুর্দশা কাটবে না।’

হুপার আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার কি আইপিএল খেলে না?‌ দেশের খেলা থাকলেই ওরা কিন্তু আইপিএলের মাঝপথে চলে যায়। গেইলরাও তো দেশের হয়ে খেলার পাশাপাশি ফ্রাঞ্চাই লিগ খেলতে পারে!