বিশেষ প্রতিবেদক *
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এ আশ্বাস দেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এই বৈঠক শুরু হয়। প্রায় আধ ঘণ্টার এই বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো সরকারপ্রধানের বৈঠক হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইং জানায়, বৈঠকে ড. ইউনূস বিগত সরকারের আমলে সকল ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা ও বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা জো বাইডেনকে জানান। অধ্যাপক ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, দেশ পুনর্গঠনে তার সরকারকে অবশ্যই সফল হতে হবে। এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেকোনো সাহায্যে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি দেশের জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করতে পারে, তাহলে তাদেরও (যুক্তরাষ্ট্র সরকার) পূর্ণ সহযোগিতা করা উচিত।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা জুলাই বিপ্লব চলাকালীন ও এরপরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আঁকা দেয়ালচিত্রের ছবি-সংবলিত ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ শীর্ষক আর্টবুক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উপহার দেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বার্তা সংস্থা বাসসকে বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরষিদের অধিবেশনের সাইডলাইনে বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সাথে এ ধরনের বৈঠক বিরল ঘটনা। এই বৈঠকটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সস্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে। এটা আমাদের জন্য সুখবর।
বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, গণতান্ত্রিক পথে উত্তরণ এবং অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কার পদক্ষেপসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থান পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে মুহূর্তে গণতন্ত্র উত্তরণের পথে রয়েছে তখন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেদেশ গঠনে তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।