নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমিনসহ আরো ২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ৫ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র দায়ীদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে আইনি সহায়তা দেবে ।
এদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে ।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (২ জানুয়ারি) রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার উত্তর ওয়াপদা এলাকার একটি খামারবাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় গণধর্ষণ মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সেনবাগের খাজুরিয়া এলাকায় একটি ইটভাটা থেকে গ্রেফতার করা হয় অপর আসামি বেচু মিয়া।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আবুল ফয়েজ বলেন, ‘নয়জনের মধ্যে আমরা পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছি। তারপরও আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও বাকী আরো যে কয়জন রয়েছে, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে শহরের মাইজদী টাউন হল মোড়ে সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়। এতে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান বক্তারা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) সকালে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সেলিনা আক্তার। পরে তার স্বজনদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খলিলুর রহমান বলেন, ওই শারীরিক পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। আজকে রিপোর্টটি পাঠিয়ে দিয়েছি।
পূর্ব বিরোধের জেরে গত রবিবার রাতে সুবর্ণচরের একটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর পর, স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ও ছেলেকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে বখাটেরা। এ ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে সুবর্ণচর থানায় মামলা করেন গৃহবধূর স্বামী। পরে কুমিল্লা থেকে প্রধান আসামি সোহেলকে এবং নোয়াখালী থেকে আরো দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।