২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ৬ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

দীর্ঘদিন রোগ ভোগের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)।

রবিবার(৪নভেম্বর) বিকেল ৫টার পর রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুকালে তরিকুল ইসলামের বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

শুক্রবার শরীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছিল। তরিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। গত কয়েক বছরে একাধিকবার তিনি সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা নেন।

তরিকুল ইসলাম চার দলীয় জোট সরকারের তথ্য ও পরিবেশ মন্ত্রী ছিলেন। তিনি স্থায়ী কমিটির আগে দলের সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

১৯৪৬ সালের ১৬ নভেম্বর যশোরে তরিকুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন। রাজনীতিতে হাতেখড়ি ছাত্রজীবনেই। যশোর এমএম কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র ইউনিয়নের প্রার্থী হিসেবে যশোর এমএম কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৮ সালে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের জন্য রাজবন্দি হিসেবে যশোর ও রাজশাহীতে কারাভোগ করেন দীর্ঘ ৯ মাস। ১৯৬৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় গ্রেপ্তার হন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী তরিকুল ছাত্রজীবনে বাম প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মওলানা ভাসানীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত এ নেতা জিয়াউর রহমানের সময়ে ভাসানী ন্যাপ থেকে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) হয়ে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির ৭৬ সদস্যের প্রথম আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য তরিকুল ইসলাম। সেই সঙ্গে বিএনপির যশোর জেলা আহ্বায়কের দায়িত্ব পান। ১৯৮০ সালে জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। পরে পর্যায়ক্রমে তিনি দলের যুগ্মমহাসচিব, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, ভাইস চেয়ারম্যান ও ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত দলের পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে স্থায়ী কমিটির সদস্য পদ পান।