২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ৬ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

পেশাগত দায়িত্বপালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার আল্টিমেটাম দিয়েছে সাংবাদিক সমাজ।

মঙ্গলবার (৭ আগস্ট)রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সার্ক ফোয়ারায় ১০ মিনিট মানববন্ধন ও প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করেন সাংবাদিকরা।

গত কয়েকদিনে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর একের পর এক হামলা চালানো হয়। পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিক বেছে বেছে এমন হামলা চালায় হেলমেটধারী সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনায় ক্রাইম রিপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি পারভেজ খান বলেন, সরকারের সদিচ্ছার অভাব আছে। হামলাকারী সবাই চিহ্নিত হয়েছে। সরকার আন্তরিক হলে তারা আইনের আওতায় আসবে।

তিনি বলেন, বিগত দিনে সাংবাদিকদের আন্দোলন থেকে এবারের আন্দোলন ভিন্ন। এবার কোনো দলীয় সাংবাদিক পক্ষ আন্দোলন করছে না। এই আন্দোলনে সফলতা আসবেই।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএইউজে) একাংশের কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ বলেন, প্রশাসন উসকানিদাতার পরিচয় প্রকাশ করছে। কিন্তু সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের ফুটেজ তারা চাইছে।

তিনি বলেন, প্রশাসনের ইচ্ছে থাকলে তাদের কাছে যে ফুটেজ আছে তাই দিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে পারবে।

তিনি বলেন, সাংবাদিকরা আহত হলে সমাজের অন্য সবাই আহত হয়। অন্যদের সংবাদ প্রকাশ বন্ধ থাকে। ফলে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দীপু সারোয়ার বলেন, চলমান আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারী, আন্দোলন বিরোধী এবং পুলিশ তিন পক্ষেরই হামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছে দায়িত্বপালনরত সাংবাদিকরা।

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা কারো প্রতিপক্ষ নয়, তবুও কেন তাদের ওপর এমন হামলা? হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

এদিকে গত শনি ও রোববার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহের সময় পুলিশের উপস্থিতিতেই হামলার শিকার হন কমপক্ষে ২৪ জন সাংবাদিক।

মানববন্ধনে ক্রাইম রিপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান খান, বাংলাভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার দীপন দেওয়ানসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা।