সাদিয়া তাজিন* রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে রিকশাসহ বিভিন্ন যান চলাচলের কারণে সৃষ্ট জ্যাম , সড়কখাতের তীব্র অনিয়ম, গণপরিবহনের চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলতার কারণে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ থেকে নিরাপদ সড়কের দাবীতে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে। এছাড়া রয়েছে ট্রাফিক খাতে দূর্নীতি, বিআরটিএর অদক্ষতা, ,সাধারণ মানুষের আইনের প্রতি অবহেলা রাস্তাগুলোকে স্থবির করে দিয়েছে। আরো কিছু অমানবিক ও বীভৎস দূর্ঘটনা ঘটেছে ।যেমন: মাস দুয়েক আগে দুই বাসচালকের রেষারেষিতে রাজিবের হাত বিচ্ছিন্ন হল, পরে মারা যায় রাজিব। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র পায়েলকে হত্যা করল বাস-এর হেল্পার ও সুপারভাইজার।সর্বশেষ সংযোজন রমিজউদ্দিন কলেজের দিয়া ও করিমের মর্মান্তিক মৃত্যু। একের পর এক এমন ঘটনায় সবার মনে প্রশ্ন ও ক্ষোভের দানা বেঁধে উঠে। তারই ফলাফল এই আন্দোলন।

অনেকে বলেছেন, এমন আন্দোলন আগে দেখিনি।এযেন নতুন এক বাংলাদেশ। যেদেশে ৪৭ বছরে কেউ কখনো কল্পনা করেনি একদিন বাংলাদেশে ইমারজেন্সী লেন হবে, লাইসেন্স না থাকায় পুলিশের গাড়ী, মন্ত্রীর গাড়ী আটকে দেওয়া হবে। বাবার লাইসেন্স পরীক্ষা করল মেয়ে, অসুস্থ রিকশা চালককে সিটে বসিয়ে নিজেরা রিকশা চালাল, তারা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নিয়ে গাড়ীর ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাইয়ের কাজ করল।আসলেই ওরা যে কাজটা করেছে অতুলনীয়।
এই ফুলকলিরাই দেশের আগামীর পরিবর্তনের সূচনা করল।শিখিয়ে গেল অনেক কিছু। আমাদের তরুণদের স্বপ্নের নিরাপদ সড়ক কেমন হবে? প্রশ্নটার উত্তর খুব বেশি দূরে নয়। একদিন ওরাই ঘুম থেকে জেগে উঠে উৎফুল্ল চিত্তে বলে উঠবে শুভ সকাল, বাংলাদেশ। চলুন, সকলে সেই সকালের প্রত্যাশায় নিজেদের মানসিকতা বদলাই। তবে আমরা সেরকম একটা সকাল দেখতে পাব।