২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ৬ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা নতুন করে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার  (১৪সেপ্টেম্বর) ভোরে দুটি নৌকায় করে প্রায় ২০ রোহিঙ্গা টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন উপ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার বলেন, ‘একটি নৌকায় করে কয়েক রোহিঙ্গা নাফ নদ পেরিয়ে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলার চর এলাকায় প্রতিহত করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পাশাপাশি মাদক পাচার ঠেকাতে মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি।’
সীমান্তের বাসিন্দারা জানায়, শুক্রবার ভোরে মিয়ানমার থেকে দুটি নৌকায় করে নাফ নদ পেরিয়ে প্রায় ২০ জন রোহিঙ্গা টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ঘোলার চল ও পশ্চিমপাড়ার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। বাকিরা এলাকায় ঢুকে পড়েছে বলে দাবি করেছেন। তবে এর মধ্যে কিছু রোহিঙ্গাকে বিজিবির সদস্যরা ঢুকতে দেয়নি। প্রতিদিন রাতে কোনো না কোনো পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জানতে চাইলে টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের চেয়ারম্যান আবদুল মতলব জানান, মিয়ানমারে থেকে যাওয়া রোহিঙ্গাদের ওপর ঠাণ্ডা মাথায় নির্যাতন চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। ফলে রোহিঙ্গারা এখনও বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সদ্য অনুপ্রবেশকারী আবুল খায়ের নামে এক রোহিঙ্গার বরাত দিয়ে তিনি জানান, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, কোথাও বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তারা খাবার সংকটে রয়েছে। সেখানে এই অবস্থা চলতে থাকলে বাকিরাও বাংলাদেশে চলে আসবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা এখনও অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে।’
গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের সহিংসতায় রোহিঙ্গাদের ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ নিপীড়ন। এসব সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা।