মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনের মুখে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ৫ কোটি ডলার বা ৪১০ কোটি টাকা সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এ সহায়তার মধ্যে রয়েছে ৪ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার অনুদান এবং ৮৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঋণ। বৃহস্পতিবার (২০সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে এ লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সম্মেলনকক্ষে এ ঋণ ও অনুদান চুক্তি হয়। এতে সই করেন ইআরডি সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান। এ সময় দুই সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কক্সবাজার জেলার স্থানীয় জনগণসহ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এইচএনপিসহ অন্যান্য সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এ সহায়তা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার-কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার-কল্যাণ বিভাগের অধীনে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
ঋনের বিষয়ে জানানো হয়, ৮৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঋণ দেওয়া হচ্ছে বিশ্বব্যাংকের আইডিএ শাখা থেকে। এই অর্থ দিচ্ছে কানাডা সরকার। কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এই ঋণের অর্থ পরে অনুদানে পরিণত হবে বলে ইআরডি থেকে জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান অনুষ্ঠানে বলেন, কুতুপালং ক্যাম্পসহ ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি মোকাবেলা করছেন। বিশ্বব্যাংকের এই অনুদান সরকারের পরিকল্পনা ও রোহিঙ্গাদের জন্য স্বাস্থ্য, পুষ্টিসেবা প্রকল্পে সহায়তা করবে।