১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ || ২৮শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত মানবিক উন্নতি। মানবিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত মানবতাবাদ, পরমতসহিষ্ণুতা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও সেবামনষ্কতা। সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের রোটারিয়ানগণও মানবিক সেবার আড়ালে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন। সামাজিক নেতৃত্ব তৈরিতে শ্রদ্ধাশীল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন বলেই দেশের সার্বিক উন্নয়নে গর্বিত অংশীদার রোটারিয়ানগণ।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কন্ট্রোলার ও অডিটর জেনারেল মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী শুক্রবার (৭সেপ্টেম্বর) রোটারি সাগরিকার ১৭ তম অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন। হোটেল আগ্রাবাদের ক্রিস্টাল বলরুমে আয়োজিত দুই পর্বের অনুষ্ঠানে প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন মো. ইসমাঈল এবং দ্বিতীয় পর্বের মূল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ মুনিরুল কুদ্দুস আকবরী।

চট্টগ্রাম সাগরিকা রোটারি ক্লাবের সেবামূলক কর্মকাণ্ডের বিস্তৃতি সর্ম্পকে ভূয়সী প্রশংসা করে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অ্যাসিস্ট্যান্ট গভর্নর অধ্যাপক ডা. আবুল কাশেম, ডিজিএন মো. বেলাল উদ্দিন আহমেদ, আইপিডিজি অধ্যাপক ড. মো. তৈয়ব চৌধুরী, পিডিজি আমিনুজ্জামান ভূইঞা, পিডিজি আবদুল আহাদ, পিডিজি এম.এ.আওয়াল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে গত রোটারি সেবাবর্ষের সামাজিক কর্মকাণ্ডসমূহের সভাতে শতভাগ উপস্থিতির জন্য অধ্যাপক ড. মো. তৈয়ব চৌধুরী, রেজাউল করিম চৌধুরী, মাশফিক আহমদ চৌধুরী, মো. মনিরুজ্জামান, খন রঞ্জন রায়, নুর মোহাম্মদ চৌধুরী, আজিজুল হক, সৈয়দ মো. তারিক, এম.এম.আমিন সোহেল, ফয়জুল কবির চৌধুরী, আজিজুল বাবুল, ফাতেমা জোহরা মুকুলকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়।

সভায় বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ চক্ষু দান সর্ম্পকে তথ্যভিত্তিক উদ্দীপনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। সারাদেশ থেকে আগত আমন্ত্রিত রোটারিয়ান, অতিথি, রোটারি পরিবারের সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি এবং অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করতে পিপি ফজলুর রহমান চৌধুরী পারভেজ, মো. রাশেদুল আমীন, শরীফ তসলিম রেজা আলমকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সভাপতি আনন্দঘন অভিষেক অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।