চট্টগ্রামের নগরের ম্যাক্স হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু রাইফা খানের মৃত্যুতে তার বাবার দায়ের করা এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার (২০ জুলাই) বিকেলে চকবাজার থানা পুলিশ এজহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেন, এজাহারটি মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। মামলা নম্বর-০৮।
গত ১৮ জু্লাই বিকেলে ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী ও তিন চিকিৎসককে অভিযুক্ত করে চকবাজার থানায় এজাহার দায়ের করেন রাইফার বাবা সাংবাদিক রুবেল খান।
এজাহারে অভিযুক্ত বাকি তিনজন হলেন- ডা. বিধান রায় চৌধুরী (৫০), ডা. দেবাশীষ সেনগুপ্ত (৩২) ও ডা. শুভ্র দেব (৩২)।
গত ২৯ জুন রাতে নগরের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সাংবাদিক রুবেল খানের মেয়ে রাইফা খান। মৃত্যুর পর থেকেই রাইফার পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা এবং দায়িত্বরত চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলার কারণেই অকালমৃত্যু ঘটে রাইফার।
ওই দিন রাতেই এ জন্য দায়ী ডাক্তার এবং নার্সদের আটক করে চকবাজার থানা পুলিশ। কিন্তু ভোর রাতে তাদের ছাড়িয়ে আনতে থানায় গিয়ে অশোভন আচরণ এবং চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা বন্ধের হুমকি দেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ফয়সল ইকবাল চৌধুরী ও তার সহযোগীরা।
রাইফার মৃত্যুর পর চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকীকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ০৬ জুলাই প্রকাশিত প্রতিবেদনে চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলায় রাইফার মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করে তদন্ত কমিটি।
এ ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি ম্যাক্স হাসপাতালের লাইসেন্সে ত্রুটিসহ ১১টি অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানায়। গত ৮ জুন ম্যাক্স হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে।